ডিশ এন্টেনায় যখন সিগন্যাল চলে যায়
টিভিটা কেমন ঝিরঝির করে- তাই না?
আমার কল্পনার মনিটরে বিচিত্রার
মুখচ্ছবিটাও ঠিক তেমনি-
সিগন্যাল বিহীন টেলিভিশনের মত।
ক্যাথোড রশ্মি এপাশ থেকে ওপাশে
ঘুরে ফিরে অবশেষে রেখে যায়
একটি ঝিরঝিরে অদৃশ্যমান প্রতিচ্ছবি।
আমি বহুবার চেষ্টা করেছি জানো?
স্বর্গের অপ্সরীরা রোজ ঘুমের স্বপ্নে,
এসেছে বহুবার।
আমি ধার নিয়েছি কারো চোখ কারো ঠোঁট।
কারো বা পৃষ্ঠদেশ আবরণী সুদীর্ঘ কেশ।
বাম চিবুকের নিচে বিন্দু তিলক আঁকা
অপ্সরীটার মুখাবয়ব নিয়ে আঁকতে চেয়েছিলাম-
আমার বিচিত্রার প্রতিমূর্তি।
আমি ভুলে গেছি রোজ রোজ
আমার হাতের রঙ পেন্সিলটা ধিক্কার দিয়েছে আমাকে।
আর আমি চিৎকার করে কেঁদেছি
এক ব্যর্থ চিত্রশিল্পীটার মত-
সময়ের অবিচল প্রবাহতরঙ্গের কোন শীর্ষবিন্দুতে-
হয়ত আসবে বিচিত্রা তার সরব অস্তিত্ব নিয়ে।
না হয় আসবে না কিংবা আসুক যেকোন দশাতে।
শুধু তারে আমি একটি প্রশ্নই করব –
সিগন্যাল বন্ধ রেখেছিলে কেন?