মৃত্যুশীতল, প্রগাঢ় অন্ধকারের বুকে
কান পেতে শুনেছি তার কণ্ঠস্বর,
চোখ বুজে দেখেছি -
আবছায়া মাখা দীর্ঘ ছায়াপথ ধরে
সারি সারি পায়ের মিছিল,
অসংখ্য মুখের জমাট পিণ্ড;
ওরা আমার পূর্বজ, আমার শিকড়,
অনেক আগে হাত ছেড়ে যাওয়া
প্রাণের বান্ধব কোনও;
আহ্নিক গতি - বার্ষিক গতি'র
কাটাকুটি খেলায় নানা সময়
দম ফুরানো, রুদ্ধগতি, যতিচিহ্ন!
ঘাটের অনেক সিড়ি যেভাবে
জলের গভীরে তলিয়ে থাকে, তেমনি
শীতের মরা বিকেলবেলায় ঝরাপাতা হয়ে,
সময়ের পলি জমা, শ্যাওলার চাদরে ঢাকা,
প্রাণের অফুরন্ত রঙের বিপরীতে
ইটচাপা বিবর্ণতা নিয়ে
কালের প্রেক্ষাপটে চিত্রার্পিত, স্থির।
স্থির! হয়তো ! কখনো বা কথা বলে,
আলগোছে চায় ছুতে,
মিলতে ও মেলাতে বর্তমানের স্রোতে।
জীবন দুর্দম গতি, বল্গা হীন অশ্বের মত,
খুরে তার ধুলো জমে না।
ইতিহাস সঙ্গ চায়,
চায় না তর্পনজল, একমুঠো তিল;
তাই তারা হানা দেয়, স্মৃতির দরজায়
কড়া নেড়ে, ডেকে তুলে
বলে, চলো নিরালা সফরে-
এভাবেই বেচে থাকা, স্মৃতির বাসর জাগা,
মৃতরাও সহবাস করে।