এখানে বসেছিলেন নারায়ণ।
অভুক্ত পেট, বালকরূপ বেশ;
ছদ্মবেশ, তাই পারিনি চিনতে;
ব্যথার পুজো হল না নিবেদন।


শিখিপাখা নেই, ময়ূরপুচ্ছ উধাও;
বাঁশিটিও যেন কোথায় গেছে পড়ে ...
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়;
সুর তো সবই কান্না হয়ে ঝরে।


ধুলোমলিন দেহ, ধুসর পা
রাখাল এখন চায়ের দোকানে খাটে;
সারাদিন দ্যাখে - দুধ ওথলায়, ফোটে ...
ফ্ল্যাট উঠছে গোঠের ফাঁকা মাঠে ।


গোপিনীরা গেছে ইটভাটাতে কাজে,
দু-চার টাকা - ভাতের গন্ধ তবে;
দুধ নেই, তার মাখন কোথায় পাবে !
গোপাল কাঁদে, শুকনো তালু চাটে ।


লক্ষীব্রত কেউ রাখেনা আজ ...
প্যাঁচারা কেন নিরুদ্দেশ, কে জানে !
শূন্য ভাঁড়ার লক্ষীমনি তাই
ঘর চালাতে ডিসকোবারে নাচে !


এদেশে এখন কংস রাজার রাজ;
পান্ডব নয়, সবাই কৌরবপক্ষ।
দ্রৌপদীদের লজ্জা বাঁচাবে কে যে ...
দেবকী মায়ের সব গর্ভই নষ্ট !


প্রশ্ন শুধুঃ
উলুবন হবে মূষল কতদিনে ?
কতদিনে হবে প্রকৃতির প্রতিশোধ ?
রক্তবীজের বংশ ধ্বংস হয়ে
শেষ হবে কবে, অনন্ত কৃষ্ণপক্ষ !!