এগোবো বলে এক পা যতই রাখি সামনে
আর এক পা ঠিক দেবেই তখন টান পিছনে।


সামনের পা হাতছানি দেয়, বলে
শাল-সেগুনেই আটকে গেলে!
সামনে আছে চন্দন বন
সঙ্গে গেলে দেখতে পাবে;


পিছনের পা সাবধানী হয়,
শালবল্লায় এই না সবে ঘর বেঁধেছি,
এখনই এসব সরিয়ে রেখে যাই কীভাবে!


সম্মুখপদ ফিসফিসিয়ে উসকানি দেয়-
সমস্তদিন চেয়েই রইলে!
চোখ চকচক, জিভ লকলক,
সাহসী হাত বাড়াও - নাহয়
একটা - দুটো ফুটবে কাঁটা,
রক্ত ও স্বেদ কয়েক ফোঁটা,
নইলে, অন্তিমে সেই - দ্রাক্ষাফল টক !


পশ্চাত্পদ লাগাম টানে -
কী দরকার, বলো
সুখের চেয়ে স্বস্তি ভালো;
এই তো সবে মন মেনেছি,
রামপ্রসাদী সুর সেধেছি-
'চাই না মাগো রাজা হতে...দু-বেলা যেন পাই মা খেতে'
দ্রাক্ষাফল বা চন্দনবন...
কোনওটাতেই আর নেই প্রয়োজন।


'প্রথম' যখন মন্ত্রণা দেয়-
তাল ঠোকে খুব, কেশর নাড়ে
মাথার ভিতর হাত-পা ছোড়ে-
সর্পকুহরে ঢোকাও হাত,
হয় ছোবল, নয় বাজীমাৎ।
ভিতুর মরণ অনেকবার
অথবা জয়ী পুরুষকার !


'দ্বিতীও' তখন শান্ত করে
আগুনতাতে প্রলেপ পরে,
বুকের উপর কান পাতো, চুপ!
লাব-ডুব-ডুব, লাব-ডুব-ডুব...
শুনতে পাছ্ছো জীবনের গান ?
থাক পড়ে যশ, পড়ে থাক মান!
মাথার উপর ঘুরন্ত চিল
এখনই দাও কপাটে খিল;
তিল তিল করে সাজিয়েছো ঘর
সঞ্চিত ধন, সুখের আকর
এখানেই মন আটক করো, নিশ্চিন্তে শিকর গাড়ো
ঝুঁকির দোসর বিপদ বড়,
যা পেয়েছো, তাও হারাতে পারো !


এমনি করেই এ পা, ও পা
দড়ি টানাটানি, মন কানাকানি,
সদাসর্বদা লড়াই চলে...
যুদ্ধ-কালীন বিপন্নতা;
মরচে পড়ে খোলসটাতে, ঘূণ ধরে যায় আত্মারামে
মধ্যবর্তী নিরাপত্তার মুখোশ পরে সন্ধ্যা নামে ।।