কোনও কোনও জন্ম সাবলীল অতি।
ভ্রুণকোষ থেকে সম্পূর্ণ শরীর -
মাখনের মত মসৃণ।


তবে, প্রত্যেক আবির্ভাবই অনাহত নয়;
কোন গভীর থেকে উঠে আসে
সহস্র সম্ভাবনার কল্লোল,
তার সব জলকণাই জলোচ্ছাসে
ভাসিয়ে নেবার শক্তি ধরে না।


তবুও তো নির্ম্মানখেলা চলে...
বিন্দু বিন্দু জলকণা
মেঘের বুকে অভিমান জমা করে,
একদিন, মুষলধারায় ভেঙ্গে পড়বে বলে।


গাছ, তার সমস্ত সত্বা কে ধারণ করে
অতিক্ষুদ্র বীজের মধ্যে,
একদিন ধরিত্রী ভেদ করে
মহীরুহ হবে বলে।


শুককীট, নিজেরই জালে
নিজেকে আবদ্ধ করে গুটির মধ্যে,
একদিন প্রজাপতির নয়নকাড়া সৌন্দর্য্যে
নিজেকে আবিষকার করবে বলে।


পুনর্জন্মের প্রলোভন দুর্লঙঘ্য-
তাই জীবন হাসিমুখে
পার হয় যন্ত্রণার সব বাঁক;
অতিক্রম করে বিপরীতমুখী সব ঢেউ;
আর এক মহত্বর অস্তিত্বের সন্ধানে।


একথা বৃষ্টি, উদ্ভিদ, প্রজাপতি জানে...
ঝিনুক জানে। আমিও জানি।


তাই নীলকন্ঠ হয়ে বহুদুর হেঁটে আসি,
একটা নতুন কবিতার জন্ম হবে বলে ।।