একটা সিন্দুক বানাবো, মেহগনি কাঠের, সুদৃশ্য
পোক্ত মহাফেজখানা, ভিতরে অসংখ্য কুঠুরি;
আমার যত গোপন কথা, ঘুমিয়ে থাকবে খোপে খোপে,
যাদের বুকে নিয়ে বইতে বইতে আমি ক্লান্ত।
লোকসমাজে যারা অপ্রকাশ্য, তারা
শান্তিতে থাক ঐ সিন্দুকে, লোকচক্ষুর আড়ালে।


আরও কত কথা লোকে জমা রেখে যায়;
'কাউকে বোলো না' - বলি না..
কালে, যার কথা সেও ভুলে যায়,
এভাবে, বন্ধকী কথা জমতেই থাকে, জমতেই থাকে..
তাদেরও রাখবো ঐ সিন্দুকের অন্ধকারে।


সিন্দুকটা থাকবে সবার সামনেই, প্রকাশ্যে
সুন্দর কাজ করা চিকনের ঢাকা,
তার ওপর সাজিয়ে রাখবো তিন বাঁদুরে পুতুল,
যারা কিছু দেখে না, শোনে না...বলে না;


বাড়িতে যারাই আসবে, তারিফ করবে
আমার রুচিবোধের, শুধু আমি জানবো
আপাত নিরীহ এই সজ্জার আড়ালে
কি ভয়ংকর বিস্ফোরক সব ঘাপটি
মেরে আছে, মুক্তি পেলে যারা একটা
সভ্যতা ধ্বংস করতে পারে এক মূহুর্তে!


মজবুত একটা সিন্দুক তাই বানাতেই হবে।