বৃক্ষের পাতা নড়ার মতো কোমলতার নরম কম্পনে দুলে উঠছে তোমার মখমল শরীর। হৃদয়ে অশ্বিনীকুমার দ্বয়। রক্তের ভেতর মহাকাল ত্রিশূল হাতে।


গোপনাঙ্গে তেমনি ব্রজের হলকা, ঝড়ের কামড়। কোমরে ইচ্ছামতি।
তার উষ্ণ রক্তের ভেতর গলা ভর্তি আগুন নিয়ে ডোবাতে চায় চোখ।
আমি পূজারীর মতো ধুপ জ্বালালাম, খঞ্জনি বাজালাম, দড়ি টেনে মঙ্গল ঘন্টা বাজালাম। কি প্রশান্তি!কি মায়া !


চাঁদের আলোয় চকচক করছে তার মেহগনি পাতা। মিলন হলো অন্তরাত্মায়। অসীমে ছড়িয়ে থাকা ধোয়া আমাদের কাপড়। একটা আলোড়ন। মোহো, আকাঙ্খা বুক চুঁইয়ে নেমে যাচ্ছে অতলে।


তোমার শাড়ীর নরম ঘাসে পা ফেলে আমি নিপাট একা।
একটা নক্ষত্র ঢুকে পড়লো মেঘের ভেতরে। তোমার পা বেয়ে উঠে আসি কাঁকড়াবিছে, মাকড়শা, কানবিছা হয়ে।
ঝিঁ ঝিঁ র ডাকে ক্লান্ত বিছানা। হাড়িতে উষ্ণ জল ফোটার শব্দ।


হিজলের ঝোপে বসে ঘেঁটে দিই জলের কোমলতা, ভালোবাসা।
কেন আলোর প্রতি এতো মায়া?
এই নির্জন রাতের ভেতর উড়ে আসছে ফুলের সুবাস।
আমি পশুর মতো তোমার পায়ের উৎসমুখে ছুটতে থাকি। ডোবারম্যানের নাক। বসে আছি, নাভিকুন্ডল। আমাকে উঠিয় না, জাগিয়ো না কোনোক্রমে।


---------------------------------------
4/8/2020(১৯শ্রাবন১৪২৭)