কে যেনো মাটির দেওয়ালে
কাঁচা গোবরের ঘুঁটে সাজাতে থাকে বিনিদ্র
হাঁড়িতে জলের বদলে রক্তে চাল ফুটছে
বাবার ধুম জ্বর, মায়ের কঙ্কালের স্তম্ভ


এমন বিষাদ জীবনে আমি পৃথিবীর গলায় দড়ি পড়িয়ে দেবো
কবিদের হাতে শিকল আর গায়কদের কন্ঠে বিষ


আমার শিরায় শিরায় ছুটে চলে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ
আমার প্রেমিকার উরুতে মৌচাক
আমি বড়ো অসহায়


খাঁচায় আটকে পড়া নারী দেহের যন্ত্রনা বিপুল উৎকন্ঠা
অনায়াসে কচি মাংসের স্বাদ পাবে হায়নার দল


বুকে গভীর অন্ধকার হতে হতে সূর্যকেও গিলে ফেলেছি অকপটে
বোবা আর পঙ্গু হওয়াটাও যে কত যন্ত্রণার তা গাছকে দেখলে বুঝতে পারি


নাভিতল -নৈঃশব্দ থেকে বেজে উঠে নির্নিবাদ ব্যথা
আকাশের গায়ে গায়ে কমলালেবুর স্তন


মাটির আকাশ
কাগজের গাছপালা


পাঁজরে সন্ধ্যা নামার আগে
বুলেট বারুদের ছেদা
আমি দূর থেকে শুনতে পাচ্ছিলাম আমার মৃত্যু সংবাদ
আর পাথরের নির্নীরব কান্না।
----------------------------------------
5/11/2020(১৯কার্তিক ১৪২৭)