ঘুম ভাঙ্গতেই চমকে উঠি নিজেই
হঠাৎ করে পশুতে রুপান্তর ।
কি বীভৎস এক জানোয়ার আমি !
হাত পায়ের নখগুলো এতো বড় যে
এমন ভয়ানক নখ কেউ
কোনদিন কল্পনাও করেনি  ।
আমাকে দেখে মানুষ তো দূরের কথা
অন্যান্য পশুগুলোও ভয়ে-আতঙ্কে
দৌঁড়াচ্ছে এদিক-সেদিক পানে  ।
মানুষের মনুষ্যত্ব যখন নির্বাসিত
তখন পশু হওয়াটাই স্বাভাবিক ।
এখন মনে হচ্ছে হঠাৎ করে পশু হইনি
পশুত্বের ভাবটা অনেকদিন ধরে
বহন করে এসেছি ।
আমার আজকের গঠন
আরব্য উপন্যাসের দ্বৈত্যের চেয়েও ভয়ংকর ।
আমার হাত-পাগুলো মানুষের মতই
তাতে যুক্ত হয়েছে
বিশালাকৃতির নখগুলো  ।
সম্পূর্ণ বদলে গেছে মুখাকৃতি  ।
জানোয়ারের মতই রূপ তার
ভয়ে কেউ চোখ তুলে তাকায় না সেদিকে ।
আমি কি করে এমন হলাম ?
কোন উত্তর নেই  ।
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে
আমার আমিকে খুঁজতে থাকি  ।
কোথায় সে আমি  ?
যার মানুষের মতো মন ছিল
ভাবনাগুলোও ছিল প্রকৃত মানুষের মতো  ।
অথচ, আজ আমি পশু ।
পশু বললেও ভুল হবে
জানোয়ার বলাটাই সমীচীন  ।
আমার নখের আঁচড়ে রক্তাক্ত পৃথিবী  ।
আজ পৃথিবীর সব সুন্দরকে
কলঙ্কিত করেছি আমি  ।
আমার শাস্তি হওয়া উচিৎ  ।
এমন শাস্তি, যার ভয়ে
পালাবে জানোয়ারের দল  ।
পৃথিবী হবে কোমল; শুভ্র  ও  সুন্দর ।
যে পৃথিবীতে আমার মতো পশুরা হবে
নিবারিত;  তিরস্কৃত ।
এমন পৃথিবী আজ আমারও কাম্য  ।


রচনাকাল- ২৪/০৭/২০০৭ ইং