কফিনে মোড়ানো দেহটা
চমকে উঠি মুহূর্তেই
হাত-পায়ে অদৃশ্য শিকল  ।
নাক-কানে তুলোর কুণ্ডলী,
বড় ভয় হয় মনে  !
নিজের এমন মূর্তি কে চায় দেখতে  
অথচ আমি দেখছি  ।
নিজের এমন করুণ মুহূর্ত
কেউ কোনদিন দেখেনি হয়তো  !
চারিদিকে আতর-গোলাপের ঘ্রাণ
থেমে থেমে কান্নার রোল
কখনো ধীরে কখনো বা উচ্চস্বরে
বিলাপ করে কাঁদছে প্রিয়জন  ।
রাজপথে মাইকের শব্দ
হারানো বিজ্ঞপ্তি নয়,
আমারই প্রাণাবসানের বর্ণনা
জনে জনে হয় প্রচারিত  ।
একটি শোক সংবাদ.................


আশ্চর্য হই  !
কিছুক্ষণ আগেই তো ঘুমঘুম চোখে
টেবিলে বসে ছিলাম দু'লাইন লিখতে  ।
মুহূর্তেই কি করে গত হলো প্রাণ ?
পাশে দাঁড়িয়ে কেউ দেবীর মতো
আমার কফিন দেখে হাসছিল  ।
বড় অদ্ভূত তার হাসি !
এমন দিনে কেউ হাসতে পারে
আমার জানা ছিল না  ।
পর মুহূর্তেই যখন তার মুখখানি
আমার চোখে পড়লো ধরা
তখনই বুঝে নিলাম তার হাসির কারণ  ।
বড় ভালবাসতো সে আমারে
বিশ্বাস করে সে দিয়েছিল মন  ।
অথচ,  আমি তার জ্যান্ত বিশ্বাসের গলে
সজোরে চালিয়ে ছিলাম
অবিশ্বাস নামক ধারালো ছুরি  ।
তাই তো এমন হাসি তার ।
যে হাসির আড়ালে ছিল
বুক ভরা ব্যথার ঢেউ
চোখ জুড়ে ছিল তার নীল রঙের জল  ।
অবশেষে, সব হাসি; সব কান্না
অন্তরীক্ষে মেললো ডানা
যখনই ভাঙ্গলো আমার ঘুম  ।


রচনাকাল- ২৬/০৭/২০০৭ ইং
কাব্যগ্রন্থ- ভাবনার আকাশে মেঘ