কোন এক বিশেষ ক্ষণে
দুঃখিনী মায়ের কষ্টের হাত ধরে
পৃথিবী; পৃথিবীর আকাশ-বাতাস
তরুলতা, পাখির কলরব
সমুদ্র, সমুদ্রের জলরাশি
ফুল-ফল সবকিছুর স্পর্শ পেতে
এসেছিলাম দুঃখিনী মায়ের
হাসির খোরাক হয়ে
এসেছিলাম তাঁর কোল জুড়ে  ।


সেদিন আমার কান্নাই
মায়ের মুখে দিয়েছিল এক ঝলক হাসি ।


মায়ের আদর; বাবার স্নেহে
পৃথিবী; পৃথিবীর আলো-বাতাসে
বেড়ে উঠেছি আমি  ।
আমার পরশে হয়তো বা কখনও
ফোটেনি গাছে ফুল
ফুলের গন্ধেই আমি পেয়েছি
জীবনের নতুন অনুভূতি  ।
আমার অনুভূতির ভাঁজে ভাঁজে
জন্ম নিয়েছে নতুন পৃথিবী ।
পৃথিবীর তরে আমি
আমার তরে পৃথিবী
এভাবেই গড়ে উঠেছে সখ্য  ।


আমার ছোঁয়ায় পৃথিবী আজ সজীব
আর পৃথিবীর সজীবতায় আমি নিয়েছি
পরম শান্তির নিঃশ্বাস  ।


আবার এভাবেই কোন একদিন
পৃথিবী; পৃথিবীর আলো-বাতাস
দুঃখিনী মা; মায়ের আদর
আর বাবার স্নেহের পরশ
সবকিছুর মোহ ফেলে
আমি অজানার পথে দেব পাড়ি ।


আমার স্মৃতিগুলো বুকে ধরে
পৃথিবী; পৃথিবীর আলো-বাতাস
দুঃখিনী মা; মায়ের আদর; বাবার স্নেহ
সবকিছু বড় একা হয়ে যাবে  ।
তবু আমি কোন টানে; কোন মোহে
আসবো না এই পৃথিবীর পথে  ।


এভাবেই আমি হয়ে যাবো অতীত
দুঃখিনী মা; বাবার স্নেহ আর পৃথিবীর কাছে ।


রচনাকাল-২৭/০২/২০০৭