হে খোদা দয়াময় নারীকে যখন সৃষ্টিই করেছ
তখন কেন তারে করেছো অবলা শক্তিহীনা ?
তুমি নাকি নিরপেক্ষ বিচার ?
তোমার বিচার যদি সমানই হবে তবে কেন
ক্ষণেক্ষণে নারী হয় লাঞ্ছিত, বঞ্চিত,ধর্ষিত?
কেন তুমি দেখতে পাওনা-
নরপিশাচের দল তাদের রাক্ষুসে ক্ষুধা মিটাতে
কেমন অবলীলায় ঝাঁপিয়ে পড়ে নারীদেহে!


কেন শুনতে পাওনা সে আত্মচিৎকার?
কেন তখন অসহায়ের সহায় হয়ে দাঁড়াও না পাশে?
আর কত তনু, নুসরাত, খাদিজা,ইয়াসমিন, সীমা,শাজনীন,ইভা,হীরামণি
এভাবে ধর্ষিত হবে ?
আর কত ফুল এভাবে ঝরে যাবে অকালে?
লক্ষে অলক্ষে কত শত ফুল নিগুঢ় আত্মবিশ্বাস বুকে নিয়ে
ধর্ষিত হচ্ছে প্রেমিক রূপী পশুদের হাতে।
লোকলজ্জা ভয়ে খুলছে না মুখ,
আত্নহননে দিচ্ছে জীবন কেউ কি রাখে সে খবর!


একএকজন ধর্ষিত হয়ে মৃত্যুর কোলে যখন পতিত হয়
মরে যাওয়া লাশের অঙ্গ-প্রত্যাঙ্গ নিয়ে
ফেসবুক, সোশ্যাল মিডিয়া নামের দুনিয়ায় তুমুল ঝড় ওঠে
কেউ সে অঙ্গ প্রত্যাঙ্গের অংশ দেখে পুলকিত শিহরিত হয়
কেউ প্রতিবাদ জানায়, কেউ ইস বলে দুঃখ প্রকাশ করে,
কেউ ক্রধে ফেটে পড়ে, কেউ ধিক্কার জানায়
তারপর ঝড় থেমে যা।,
এদের মাটিতে বিচার হয়না কোনো ধর্ষকের।
বিচার চাইতে গেলে কখনো দলিও ক্ষমতা
উপর মহল থেকে আসে হুমকি
কখনো প্রশাসনের টেবিলের নিচে কালো টাকার খাম,
কখনো বা ধর্ষিতার পরিবার পরিজনকে ধর্ষিতার মতই
ফুলফল শোভিত সবুজ শ্যমাল মৃত্তিকার মায়াছেড়ে
ঠাই নিতে হয় ওই অন্ধকার কবরে।


না আর চুপ থাকা নয়,এখনি সময় রুখে দাঁড়াবার
হ্যাঁ কন্যা তোমাকে বলছি কান খুলে শোনো
হ্যাঁ ভগিনী তোমাকে বলছি মন দিয়ে বোঝো
হ্যাঁ জননী তোমাকেই বলছি আমাদের মত ভিত-সন্ত্রস্ত হওনা
আপন বুদ্ধিমত্তায় নিজেকে রক্ষা করো।
তনু, নুসরাত, খাদিজা,ইয়াসমিন, সীমা,শাজনীন,ইভা,হীরামণি
আমরা বলছি-কন্যা, ভগিনী, জননী-
তোমরা কেউ আমাদের মত ধর্ষিত হওনা শিরোনাম হওনা
আমরাদের কথা মন দিয়ে শোনো
এখানে আমরা কেউ ভালো নেই
আমাদের অতৃপ্তি আত্মা তোমাদের কাছে বিচার চায়
এদেশের সরকার ধর্ষকের বিচার
কখনো কোনো দিনো সম্পন্ন করবে না
তোমরা আপন হাতে তুলে নাও বিচার।
আমাদের মত ঘাবড়ে যেওনা, ভয় পেওনা
অসীম সাহস রাখো বুকে।


এবার শোনো, ওরা যতই হোক না কেন শক্তিশালী শক্তিধারী
দুর্বলতাও আছে যেটা আমরা মৃত্যুর পর বুঝেছি।
চাইনা তোমরাও আমাদের মত পত্রিকার হেডলাইন হও
পাবলিকের আলোচনার খোরাক হও,
কবির কবিতা হও,গল্পকারের গল্প হও,
সোশ্যাল মিডিয়ার ঝড় হও।
আমরা চাই তোমরা কৌশলী হও
আপন বুদ্ধিতে পরাস্থ করো ওদের।
নিজেকে ভীষণ, ভীষণ, ভীষণ শান্ত রাখো
এবং অভিনয় করো এমন ভাবে যেনো ওই লম্পটের হাতে
তুমি তোমার সর্বস্ব সেচ্ছায় বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত।


ওরা ওদের লালসা মিটাতে বিবস্ত্র হয়ে
যখন তোমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্ধত হবে
তুমি তখন ইয়া আলী নাম মুখে নিয়ে তোমার সর্বশক্তি দিয়ে
ওর নাভিমূল তলপেট জুড়ে আঘাত করো
এবং কিছু বুঝে ওঠার আগেই মুহুর্ত কালবিলাম্ব না করে
নাগিনী রূপে ফুসে উঠে কালবৈশাখী ঝড়ের মত
গর্জে উঠে কন্দর্প চেয়ে ধরো এবং মুষ্ক গালিয়ে দাও।
ভাবছ আল্লাহ নারাজ হবেন?
নাহ আল্লাহ অখুশি হবেন না।
প্রাণীকে আল্লাহ দুটি লিঙ্গে বিভাক্ত করেছেন
মানব মানবীকে করেছেন সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব
দিয়েছেন বিবেক বিবেচনা জ্ঞান বুদ্ধি
সেই মানুষ যখন বন্য পশুর ন্যায় আচারণ করে
মানবীকে পীড়নের পর খুন করে
তোমরা কেন তাদের হত্যা করতে দ্বিধান্বিত হচ্ছ?
যদি আজ আমরা জীবিত থাকতাম তবে
আর কোনো ফুল আমরা ঝরে পড়তে দিতাম না।
পুরুষ বা নারীকে মানুষ রূপে সৃষ্টি করেছেন
তিনি তোমাদের সহায় হবেন
একজন দুজন তিনজন করে
ধর্ষকের বিচার আপন হাতে তুলে নাও।
বহাল রাখো এ আইন এবং ঝড় তোলো সোশ্যাল মিড়িয়ায়।
ভেঙে দাও,গুড়িয়ে দাও ওই কালো হাত
ওরা পিছু হটবে, হটবেই ,কমে যাবে এক সময় থেমে যাবে
স্বাধীন বাংলাদেশের বুকে স্বাধীন ভাবে পথ চলবে
আমাদের মা -বোনেরা ...
ধর্ষিতার অতৃপ্ত আত্মাও শান্তি পাবে।