শুভ্র বসন সাজ করে মা যাচ্ছে কোথা আপু?
দু'চোখ মুছে একটু হেসে কও তো আমায় বাপু।
কও না কথা, ছাতা মাথা ; ভাল লাগেনা আর
অমন কেন  মুখটি তোমার করে রাখো ভার?
এমন পোশাক পরতে ওকে, দেখিনি তো আগে
তাই আমার অবুঝ মনে হাজার প্রশ্ন জাগে।


মসজিদের  ঐ খটে চড়ে যাচ্ছে কোথায় বলো?
আমিও মা যাবো সেথায় আমায় নিয়ে চলো।
বলছি তোমায় এ্যাত্ত  তবু আঁচল মুখের পরে?
যাচ্ছি আমিও আপুর তরে থাকো তুমি ঘরে।
দেখবো আমি একলা ঘরে কেমনে তুমি থাকো
মাগো,তখন  দুই নয়নে  কার সে ছবি আঁকো।


আপুর গাছে ফুল ফুটেছে আহা সুবাসে মৌ মৌ
আপু আমার কোথায় গেলো বলছো নাতো কেউ?
আকাশ ভরা চাঁদের মেলা, চাঁদ খিল খিল হাসি
জোছনা বানে এই ধরণী যাচ্ছে যেনো ভাসি।
জোছনা যে তার খুব পছন্দের আঁধারে তার ভয়
বলো মা শুভ্র তার ওই বসন কোথায় চলে যায়?


পুতুলগুলো বাক্সে তোলা, ধুলো জমেছে গায়
ওই খানে খেলতো সে আম-কাঁঠালের ছায়।
বলো না মা,একলা ঘরে কেমন করে থাকি?
নয়নের জল কেমন করে, ধরে মাগো রাখি?
আমিও যাবো  তারার দেশে, পরী হয়ে  শেষে
গাছের শাখে দুলবো আমি  নানান  ফুল বেশে।


ঝিরি ঝিরি শীতল পরশ বুলাবো তোমার গায়
পড়বে না আর পায়ের চিহ্ন এই শ্যামল গাঁয়।
খেলবো না এ ঘরময় করবো নাকো দস্যিপনা
বলোভকাকে  বলবে  সোনা মোনা চাঁদের কণা?
সাঁঝের বেলা যায় যে বয়ে আঁধার হলো ঘনো
কোথায় গেলো আপু আমার মাগো তুমি জানো?


বিন্দু বিন্দু  জমেছে শিশির, দূর্বা ঘাসের বুকে
আমার রেখে আপু বুঝি আছে অনেক সুখে?
আমিও তবে গাল ফুলিয়ে  এই করলাম মান
যত শোনাক আপু আমায় মান ভাঙানো গান
রাগ করেছি আপুর উপর এই দিচ্ছি আড়ি
বলবো না আর কথা আমি যতই ফিরুক বাড়ি।


দিবোনা আর ধরতে তাকে টগবগানো ঘোড়া
দিবোনা ধরতে তাকে আমার জুতো জোড়া।
কেন সে যে আমার সাথে করলো বাড়াবাড়ি
ফিরুক এবার জোর গলায় বলবো আড়ি আড়ি।
যাও না তুমি চাঁদের দেশে হও তুমি না তারা
আমিই আমার ঘর জুড়ে একলা  হবো সারা।


৫ মে  ২০১৮