সেদিনও ছিলো এমনই শুনশান আকাশ
সেদিনও শ্রাবণ আকাশের  নীরবতা ভেঙে
জেগেছিলো ষোড়শী চাঁদ
আজো নারকেলের লম্বা পাতার ফাঁক গোলে
                 উঁকি দিলো পূর্ণ যৌবনা চাঁদ
জোছনার বান ডেকেছে ধরার বুকে
বাতাসে জুঁই, বেলী, হাসনাহেনার সুবাস
এঁদো ডুবা থেকে ভেসে আসা ডাহুকের কণ্ঠ।


একছড়া বৃষ্টির সাথে মিতালি করে
চিরহরিৎ মেহগনি সারিসারি সুপারি আর জাম-জারুলেরা আড়মোড়া ভেঙে
জানান দিলো ফিরে এসেছে তেশরা শ্রাবণ।
জলকেলী কেতকী সুমিষ্ট হাসিতে
বলল শুভ জন্মদিন।
রোজনামচা থেকে খসে পড়লো আরেকটি পাতা
               দুঃখ সুখের দীপাবলিতে
মিলেমিশে একাকার হলো তিতাল্লিশটা শ্রাবণ।


অথাৎ পনের হাজার ছয়শত পঁচানব্বই দিন
তিনলক্ষ ছিয়াত্তর হাজার ছয়শত আশি ঘণ্টা
দুই কোটি ছাব্বিশ লক্ষ আটশ মিনিট,
একশত পঁয়ত্রিশ কোটি ষাট লক্ষ আটচল্লিশ হাজার সেকেন্ড।


         দীর্ঘ সময়ে ঘুরেছি বহু শহর-নগর
হেঁটেছি অনেক জনপথ,
অচেনা-চেনার ভিড়ে চিনেছি বন্ধু স্বজন
         ঘাত-প্রতিঘাতে জেনেছি জীবন।
রঙিন স্বপ্নময় পথের বাঁকে
ধূসর কণ্টক পথে আঁকাবাঁকা
অবহেলার ধুলোয় মলিন অতীত শ্রাবণ বৃষ্টিতে ধুয়ে
বন্ধুর পথ ধরে আরেকটি সোনালি প্রভাতে জীবনের পদার্পণ।


১৮ জুলাই ২০১৯