অতঃপর বহুদিন পর কাজের তাগিদে
সেই রেস্টুরেন্টের সামনে দিয়ে যাওয়া
স্মৃতি ছুঁয়ে ভেসে উঠলো প্রথম প্রণয় ক্ষণ
এক নজর তাকালাম, দেখলাম, চেয়ার দুটি শূন্য,
টেবিলে পড়ে আছে ভাজি-পরাটার প্লেট
আঁখিপাতে তোমার হাস্যজ্জ্বল মুখ
আর সেই কোল্ড ড্রিংকের ক্যান
যেখানে লেগে আছে উচ্ছল ভালোবাসা।


সেদিনের মত আকাশে মেঘ ছিলো না
তবু দু'চোখের কার্ণিশ বেয়ে
অঝর ধারায় ঝরে পড়লো কয়েক পশলা বৃষ্টি।
চৈতন্যের কুয়াশা শিশির হাওয়ায় উবে
দেশলেয়ার মত জ্বলে ওঠা ভোরের সূর্য
বলে গেলো ভালোবাসার কথা।


গভীর রাতে যখন পৃথিবী ঘুমিয়ে যায়
তখন জ্বলজ্বল করে ফেরারি বসন্ত,
ফুলের সুগন্ধ, ঝিঁঝিঁদের ঝিম
চাঁদের আলো, নীহারিকা-নক্ষত্র ছায়াপথ,
ছিপছিপে নদী, সবুজারণ্য, দূর-দিগন্ত বলে যায়
ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি।


নিজেকে প্রচন্ড ধিক্কার দিতে ইচ্ছে করে
রাতের অন্ধকার বড়ই ভয়ংকর,
নিকশ নিস্তব্ধতা, ভালোবাসার প্রাচীর ডিঙিয়ে
বিশ্বাসের পৃথিবী ভেঙে দেয় দমকা ঝড়ে
মল্লিকা মৌ হেমলকের তীব্রতায়
দেশলাইয়ের শেষ শলাকা নিভে যাওয়ার আগেই
ঝাঁঝরা করে দেয় যত্নে গড়া হৃদয় মন্দির।


অমরতা-ছোঁয়া কবিতা ছিলো বুক পিঞ্জিরায় শ্বেত অশ্বারূঢ়
আজ তা সিগারেটের নিকোটিনের মত,
মিশে গেছে ধমনিতে
দিব্যি কেটে বলছিলে পৃথিবী বিলিন হবে
অটুট থাকবে এ বন্ধুত্ব এ বন্ধন
পইপই করে এগিয়ে চলা সময় ক্ষণ বিষাদে রূপান্তরিত
চরম আবেগ অভিমান অনুভূতি,
কাটাছেঁড়ায় আন্দোলিত অভিব্যক্তি হতাশা ও অভিসন্ধি।
টেবিলে দৃষ্টি রেখে বুঝতে পারলাম,
সমাজ বাস্তবতা সময়ের পরিবর্তন স্বার্থ আর নৈতিকতার সংকটে
ভাঁটফুলের মত কাঁদে প্রণয় বীণ।
২৬ জানুয়ারি ২০২০