ধূসর আর্তনাদে শ্রাবণ সময় গুমরে গুমরে কাঁদে
কবিতা ভুলেছে লজ্জা ভীতি ভয়।
যে কবিতারা বুঝত না ভাবগাম্ভীর্য
যারা শুভ্রতায়  সাজতো নবজাতকের মত
কখনো বা ছায়া দিত সুশীতল
যে কবিতায় থাকতো রূপক শিল্পরূপায়ন চিত্রে
জনতার আদালতে সে কবিতা-
                   আজ প্রতিবাদি কণ্ঠস্বর।


যে কবিতা ছিলো পল্লীবালার পায়ের নূপুর
তারা আজ গর্জে ওঠে ক্ষণে ক্ষণে
শীতের অলস বেলায় খেলেনা পাতা ঝরার খেলা
ফাগুনে সাজেনা বাসন্তি সাজ।
             ভেজেনা রিমঝিম বৃষ্টি ভরা ভাদরে,
ভাসেনা  ধবল মেঘের ভেলায়,
হাসে না শুভ্রতায় শরৎ কাশফুলে
ওরা শুধুই চৈত্রের দাবদাহের মত জ্বলে আজ।


ধুলি কাদা মেখে যে ছেলেটি ঘুরে ফিরতো সারাদিন মাঠে মাঠে বন-বাদাড়ে
ক্লান্ত দুপুরে ঝিঁঝিঁদের সাথে ধরতো ঝিম
বিষন্ন বিকেলে নদীতীরে সোনালি চিলের ডানায় ডানা মেলে উড়ত আকাশ থেকে আকাশে
গাঙপায়রা হয়ে বসতো পদ্মার বুকে
তার মুখে এখন রাজনীতির আস্ফালন।


ধূসর আর্তনাদে শ্রাবণ সময় গুমরে  কাঁদে
কবিতা ভুলেছে লজ্জা ভীতি ভয়।
ধমনিতে ধমনিতে জ্বলে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ
পনেরই আগস্টের মিছকালো রাত।
জ্বলে ধানমন্ডির বত্রিশ নম্বর বাড়িতে
            পড়ে থাকা রক্তাক্ত লাশ।
সিঁড়ি বেয়েবেয় গড়িয়ে
যমুনার জলে মিশে যাওয়া তাঁর বুকের তাজা রক্ত।
ধূসর আর্তনাদে শ্রাবণ সময় গুমরে গুমরে  কাঁদে
কবিতারা ভুলেছে লজ্জা ভীতি ভয়।


২৪ আগস্ট ২০১৯