ধরবি কুস্তি আয় দেখি
কেমন শক্তি তোর গায়
কি হলো কই রে তোরা
বেলা যে ওই বয়ে যায়।


                      সাত গাঁয়েতে আছে যত
                      শক্তিধর আর কুস্তিগির
                      আয় ছুটে জ্বলদি করে
                     যেথায় যত আছিস বীর।


কি হলো হটলি যে সব
দেখে আমার লম্বা ঠ্যাং
ভীষণ কি ভয় পেয়েছিস
ভাবছিস বুঝি মারব ল্যাং।
      
                        ঠ্যাং আমার ভীষণ নরম
                        মারলে ব্যথা লাগবে না
                        শত ঘায়েও তোদের গায়
                        একটুও ব্যথা জাগবে না


তবু তোরা আসছিস না যে
মনে তোদের এতো ভয়
কেমন করে বলতো দেখি
করবি তোরা জগৎ জয়?


                         মুখে তো খুব বড় কথা
                         বলার সময় থামিস না
                         কার্য বেলা পিছু হাঁটিস
                         একটুও তো নামিস না।


জেনেছি তোর ক্ষমতা
বুঝেছি সব জারিজুরি
অন্যকে ভাঙিয়ে খাস
শুধুই কথার বাহাদুরি।


                      আমি হলাম সেই পালোয়ান
                      চেনে লোকে দশ গাঁয়ের
                      বাতাস এলেই উলটে পড়ি
                      শক্তি দেখ আমার পায়ের।


হাত বাড়িয়ে তারা ছিঁড়ি
আকাশ ওই বুক থেকে
রোদের তাপে দেহ আমার
ভীষণ ভাবে যায় বেঁকে।


                           খাদ্য কি খাই জানতে চাস
                           ওসব জেনে কি হবে?
                           মাছ মাংস দুধ ডিম ঘি
                           মনে নেই খেয়েছি কবে।


হাত দু'খানা ছিপছিপানো
তাই এমন বডি খানা
পা দুখানা ব্যাঙের ঠ্যাং
হাঁড়গুলো যায় গোনা।


                        তবু শক্তি, বেযায় মনে
                        জানে গাঁয়ের দশ জনা
                        আমার নাম লোক মুখে
                        সারাটিক্ষণ যায় শোনা।


ঢ্যাং ঢ্যাং ঢ্যাং ঘুরাঘুরি
এটা হলো আমার কাজ
বাহু দেখে ভয় পেওনা
আমি তো সেই কুস্তিবাজ।


                       ২০ অক্টোবর ২০১৯