মানবতা ঘুমায়
এস সুলতানা


একবুক আশা নিয়ে আপন নিবাস ছেড়ে
রাজধানী শহরে পা রেখেছিলাম।
দারিদ্রতা আষ্টেপৃষ্টে রেখেছে বেঁধে রেখেছিলো জীবন
তবু চোখে ছিলো  আলোক ঝলমলে রঙিন স্বপ্ন
একদিন হাস্নাহেনার মত আমিও ছড়াব সুবাস।
                  পূরণ হবে বাবা-মার স্বপ্ন বাসনা।
পেরিয়ে গেছে স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর
ভেবেছিলাম হয়তো এখন আর
"মোচার খোলায় ঘোরে না লুটেরা"
রাত্রের শিশিরে কাঁদেনা ঘাসফুল।


হায় ভাবনা, যতসব ভুলভাল ভাবনা।
ক্ষমতার দম্ভ, গডফাদারের প্রাচুর্য
দুয়ে মিলেমিশে একাকার।
প্রকাশ্য দিবালোকে সাদা সাইনবোর্ডের পিছনে
কালো টাকার গাছে ধরে রমরমা ফল।
রাজনীতি, পেটনীতি কুটনীতির কত রকম ঝুটঝামেলা।
ভোর না হতেই ঝরে পড়ে টগবগা যৌবনা হাজারো অঙ্কুরিত গোলাপ।


তারপর শতশত তরুণ ঝাঁক বেঁধে
শঠোতাদের ফাঁসির দাবি নিয়ে নামে
রাজপথে চোখে ঝরে তাদের অগ্নি বৃষ্টি, সে বৃষ্টির তোড়ে
গ্রামে -গঞ্জে,শহরে-বন্দরে নাম অগ্নিবন্যার ঢল
কেয়াপাতা কাঁপে থরথর
ক্ষুব্ধ -ক্রদ্ধ ছাত্রজনতা ফণা তুলে গর্জে উঠে
ধারণ করে এক ভয়ঙ্কর রূপ।


অতঃপর রাতের গভীরে শঠ তঞ্চকের
লম্বা কালোহাত উর্ধতনের টেবিলের নিচে
বিচার ঢিসমিস, ঘুমের ওষুধ গিলে ঘুমায় মানবতা।
আমরা বেঁচে থাকি কবিদের কবিতায়।


৭ অক্টোবর ২০১৯