এলো মহামারি পেলো সুযোগে হলো নেতা উচাটন
মাস ছয় পর বাজারে গেলাম কিনতে কিছুটা মাছ
কয়াদি নই তবু বন্দী জীবন বড্ড ক্লান্ত দেহ-মন
বাজারে যেতে দেখি ওমা একি পড়ল মাথায় বাজ!


মায়ের জন্য কিনতে হবে সুপারি চুন জর্দা ও পান
এক যাত্রি নিবে দুই সিট, ডাবল হয়েছে গাড়ি ভাড়া
সুস্থ রাখতে পরিবার পরিজন বাঁঁচাতে আপন প্রাণ
সিট,পূর্ণ কে মানে নিয়ম যাত্রি উঠানামার বড় তাড়া।


লক ডাউন সারা টাউন আসলেই সত্যি কি তাই!
নিত্য প্রয়োজনে খোলা বাজার, ভিড়ে ঠেলাঠেলি
চায়ের দোকান দিব্যি খোলা,জনতার অভাব নাই
যাতে হাত রাখি দাম দ্বিগুণ জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।


তোমরা মানছ স্বাস্থ্যবিধি রেখে কাজকাম সব বন্ধ
ভালোমন্দ খাচ্ছ যাহক, যেনো সবকিছুই স্বাভাবিক।
যত আছে গরিব-মধ্যবিত্ত ক্ষুধায় মরে ভাগ্য অতিমন্দ
রোগে ভুগছে বৃদ্ধ মা-বাবা ক্ষুধায় কাঁদছে অভাবিক।


একে একে গেল ছয় মাস কাটে নাই তবু সংশয়
জীবন তাগিদে ছুটছে মানুষ মৃত্যু নিয়ে হাত মুঠো
বিনা পয়সায় জ্ঞান দিতে, ওরা যে কত কথা কয়!
ক্ষুধার্তকে দিতে খাদ্য ওরা খোলে নাকো হাতদুটো।


হায় মহামারি নোভেল করোনা সাধুবাদ তুমি নাও
চোখে দিয়ে আঙুল চিনিয়ে দিলে বন্ধু-বান্ধব-স্বজন
কেড়ে নিলে কত তাজা প্রাণ এবার তবে বিদায় হও
অভাবে ভেঙেছে মেরুদণ্ড হাড়, ভেঙেছে হৃদয় মন।


ক্ষুধাতুর শিশু কাঁদছে ঘরে, রোগে ভোগে বাবা-মা
প্রয়োজন আমায় বাধ্য করে কি করে মানি রীতি
পেপার টিভিতে শুনি খবর সবাই কি মানছে তা
কথা কাজে পাইনাকো মিল মেলেনা সত্যের নীতি।


ত্রাণ নামে এলো যত ধন সব ওরা নিলো পকেটে
যত মরা মরে সাধারণ ছলছল জল ভেজা নয়নে
লোক দেখান ধরপাকড় ধরে বলো আর কটাকে
সব ক্ষোভ চায় ঝরে পড়তে কাগজ কলম চয়নে।


সুন্দরি করোনা শেষে এলো বিশ্ব মহামারি বেশে
তার সাথে লড়ে পেরিয়ে গেলো পাঁচ ছয়টি মাস
গোছাতে আখের ব্যস্ত নেতারা একটু ঝেড়ে কেশে
গরিব তবু হাতটি পাতে মধ্যবিত্তের যত আসফাস।