পদ্ম যুগের মেয়ে,  
পদ্মের বাস জলের মাঝখানে।  
ভ্রমর প্রজাপতি ডাঙাতেই বসত করে,
তারা খুব হিংস্র, ছিন্ন ভিন্ন করে দিতে পরে তার দেহ,
পদ্মকে জলে রেখেছিল
কারণ,বাবা ভেবেছিলো সেখানে ভ্রমর  পৌছবে না,
এই বিশ্বাসে   জলের মাঝখানে রাখে।
পৃথিবী সৃষ্টির শুরুতেই প্রকৃতিগত কারণে সৃষ্টি হয়েছিলো প্রেম-
ভালোবাসার, প্রেম ভালোবাসা খোদা প্রদত্ত।
তাই প্রেম পবিত্র,
কিন্তু এখন প্রেমের নামে যা হচ্ছে তাকি প্রেম!
তাই তো যুগের মেয়ে পদ্ম বলছে-


আমি পদ্ম,
জলের মধ্যিখানে আমার বাস।
আমার জন্মের পর, চোখে মুখে চুমো এঁকে
বাবা এখানে আমাকে রেখে গিয়ে বলেছিলেন
আজ থেকে এখানেই তুই ভালো থাকবি
ডাঙায় অনেক রঙবে রঙের ভ্রোমর আছে,
ওর মধুর কথা বলে, ওরা বড় প্রতারক-
ওরা গুনগুনিয়ে ভালোবাসার মিষ্টি গান শোনায়
তোকেও সে গান শুনিয়ে তোর আবেগি মনে জায়গা করে নিয়ে
মধু লুফে নিয়ে উড়ে যাবে অন্য ফুলে।
কেমন করে সইবো, তোর শূন্য হৃদয়ের তিব্র যন্ত্রণা।
ওদের হাত থেকে বাঁচতে এখানেই তুই  ভালো থাকবি।
আমি আমার বাবার কথা মত
সেই থেকে জলের মধ্যখানে বসত শুরু করলাম
কিন্তু বাবা কি জানতো না জলে আছে
বিষধর সাপ, হাঙ্গর, কুমির!
ওরা যে আরো ওরা হিংস্র
ওদের বিষ দংশনে মুহুর্তে আমার কোমল হৃদয়
সুপ্ত তনু সব শেষ করে দিতে পারে-
তুমি কেমন করে ভুলে গেলে বাবা, তুমিও ভ্রোমর
অথবা জলের ওই বিষধর সাপ ও কুমির....
তুমিও চুপি চুপি লুফেছ কোন পদ্মের মধু
মিথ্যা অঙ্গীকারে ছিন্ন-ভিন্ন করেছ পদ্মের পাপড়ী।
ক্ষত বিক্ষত করে দিয়েছ এক অনাকাঙ্খীর আগামীর স্বপ্ন
তোমার প্রতারণার দ্বায় ভারে আমাকেই যে নিতে হবে বাবা
আমাকেই যে  দিতে হয়েছে মাশুল .....।।