উফ,
ফোনটা এখন না বাজলেই কি হতো না।
বড্ড দেরি হয়ে গেলো,
কখন যে অফিস পৌছাব
বেহায়া ফোনটা সময় বোঝে না
প্রয়োজনে অপ্রয়পজনে যখন তখন বেজে ওঠে।
আননোন থেকে,কার নাম্বার এটা!
বারবার বাজছে, কিন্তু রিসিভ করবো কখন,
, কারো জরুরী ফোন নয় তো, দেখি কে ফোন দিচ্ছে -


-হ্যালো, কে বলছেন?
- আমি আসিকের বন্ধু আবির, আসিককে দিন না একটু
-আসিক!
-এটা আসিকের নাম্বার না?
-রং নাম্বার।
-কি হলো ফোনটা কেটে দিলেন যে?
-বললাম না রং নাম্বার।
-আপনার কণ্ঠটা বেশ সুন্দর , একটু কথা বলা যাবে কি?
-বিজি আছি।
-কিসের এতো ব্যস্ততা, দুমিনিট কথা বললে কি আর এমন ক্ষতি হবে,
বলেন না দুমিনিট।
-বড্ড নাছর বান্দা তো আপনি!
সময় কেন বুঝতে চাননা বলুন তো?
বললাম বিজি তবু....
-রাগ করছেন? রাগলে না, আপনাকে বেশ লাগে।
-দেখুন, আপনার লাগালাগি আপনার কাছেই রাখুন,
দয়া করে বিরক্ত করবেন না। ফোনটা বড় প্রয়োজনিয় জিনিস
এটাকে আপনাদের মত কিছু মানুষ অপব্যবহার করছে।
-ম্যাডাম আপনার কণ্ঠটা সত্যি খুব সুন্দর,
আমি তো আপনার কণ্ঠের প্রেমে পড়ে গেছি।
-প্রেম কোন গাছে ধরে তা?
-গাছে না গাছে না, প্রেম ধরে মানুষের হৃদয়ে।
-ফোনটা কি রাখবেন আপনি নাকি কেটে দিবো? যত্তদব উটকো ঝামেলা।
-আপনি আবার ফোন দিয়েছেন?
-কি হলো ম্যাডাম ফোটা কেটে দিলেন যে?
আপনার কণ্ঠটা না সত্যিই ভীষণ সুন্দর তাই তো
বারবার আপনার কাছে ফিরেফিরে আসি সেটা কি আমার অপরাধ?
-দেখুন মিঃ চাপাটা অন্য কোথাও মারুন,
ভুল স্থানে নক করেছেন, এখানে ভ্যাকান্সি খালি নেই।
-ম্যাডাম আপনি ফ্রি হবেন কখন?
-আমার ফ্রি হওয়া দিয়ে আপনি কি করবেন?
-মনে হচ্ছে আপনি এখন কোন কারণে বিজি আছেন
তাই হুটহাট করে রাগ উঠে যাচ্ছে, ভাবছি ফ্রি হলে তখন কথা বলবো।
-আপনি তো বড্ড বেহায়া।
-তা বলতে পারেন,
এ যুগে যার লজ্জা বেশি কি আর যাই করুক পরকিয়া করতে পারে না।
-হট নন্সেন্স।
-গাল দিয়েন না, আর যা সহ্য করতে বলেন করবো,
গাল সহ্য করতে পারবো না।
-এই মিয়া ফোনটা কি রাখবেন নাকি...
-নাকি কি ম্যাডাম?
-তোর মাথা।
-ম্যাডাম তুই করে বললে না শুনতে খারাপ লাগে,
আপনি করে বললে পরপর লাগে, প্লিজ তুমি করে বলুনা।
১২/০১/২০২০