সেদিন দ্রিমদ্রিম বাজিয়ে দামামা ছিলো বারিদের ছুটাছুটি।
বাজছিলো বিজলীর ঢাল তলোয়ার ঝনঝন -
                      অম্বর ছিলো দারুণ রোষে।
বাতাস ঝাপট শনশনশন, রিমঝিম বৃষ্টির গান
শ্রাবণের হাতে সেই প্রথম হাত রাখা আমার।


তারপর এক দুই দিন করে পেরিয়ে গেছে
পাঁচশত ছত্রিশ মাস অর্থাৎ
বার হাজার আট শত চৌষট্টি ঘণ্ঠা অর্থাৎ
সাতলক্ষ একাত্তর হাজার আটশত চল্লিশ মিনিট অর্থৎ
ছচল্লিশকোটি তিনলক্ষ দশহাজার চারশত সেকেন্ড
                     অর্থাৎ চুয়াল্লিশ বছর আটমাস।


এই দীর্ঘ সময় শ্রাবণের হাতে হাত রেখে
আঁধারের বুকে দেখেছি জোনাকির খেলা,
সবুজের বুকে দেখেছি ফসলের হাসি,
শুনেচ্ছি অরণ্যের পাখিদের কলোতান,
মৃত্তিকায় কান পেতে শুনেছি বর্ষার গান,
দেখেছি ফাগুনের রঙে ফুলের মেলা,
দেখেছি চৈত্রের খরা, আষাঢ়ের ঢল,
শরতে শিউলির হাসি, কাশফুল নীলাকাশ।

কখনো মরিচীকা মায়া, ছুটেছি আলেয়ার পিছু
কাউকে করে অন্ধ বিশ্বাস হেঁটেছি বন্ধুর পথে,
বাস্তবতার করাঘাতে পড়েছি মুখ থুবড়ে
ইয়া আলী বলে আবার দাঁড়িয়েছি উঠে।
অতঃপর সেই থেকে শ্রাবণ ও আমি আছি
                           এক আত্মা এক সত্ত্বা হয়ে।


১৭ মার্চ ২১
সময় ৮.৪০