একটা শ্বেত পাথরের মন খুঁজতে খুঁজতে
ঘুরে এলাম এই বাংলার আটষট্টি হাজার গ্রাম।
সেখানে সবুজ দেখেছি, কোমলতা দেখেছি
দেখছি নদী, গিরি, সুবিস্তৃত ফসলের মাঠ।
একটা মানুষ দেখিনি।


উস্ক-সুস্ক বিষন্ন মনটা ব্যকুল হলো
আকাশ ভেদকরে ওই চাঁদের কোলে
                   মাথা রেখে ঘুমাতে
মায়াবী চাঁদটাও বাড়িয়ে দিলো দুটি বাহু
মহুয়া মাতাল বাতাস এসে
ছুঁয়ে দিলো সোহাগি শরীর।
চাঁদটা বিছিয়ে দিলো ঝলমলে জোৎস্নার
তুলতুলে স্নিগ্ধ গালচা।


অটল ব্রত নিয়ে হেঁটে চলেছি তো চলেছিই
চাঁদ বলেছিলো সে নাকি একটা মই দেবে
যা বেয়েবেয়ে অনায়াসে পৌঁছে তার কাছে
মই খুঁজতে খুঁজতে এসে দাঁড়ালাম
                      ময়ূর নদীর বাকে
তার ক্ষীণ সোঁতা টেনেটেনে  নিচ্ছে নিশ্বাস
তার স্নেহের আঁচল ছিড়েছে সেই কবে!
খরস্রোতা ময়ূরের বুক এখন দূর্গন্ধে ভরা।

তখন মাঝ রাত, মইটার দেখা তখনও মেলেনি
ময়ূরের কিনার বেয়েবেয়ে হাঁটছি
একটা কৃশ কণ্ঠস্বর ভেসে এলো পিছন থেকে
আর পারিনা গো এই আবর্জনার বোঝা বইতে
               হয় আমাকে হত্যা করো না হয়
সুইস গেটটা খুলে দাও
ভাসিয়ে নিয়ে যাক বঙ্গপসাগরের তলদেশে।
এভাবে তিলেতিলে মেরো না আমায়।


                                 থমকে দাঁড়ালাম,
যে শ্বেত পাথরের মন খুঁজে ফিরছি
শহর থেকে গ্রামে, গ্রাম থেকে অরণ্যে,  
         অরণ্য থেকে পাহাড়ে
সে আমারি  কালিমালিপ্ত মনের অঙ্গনে পর্দা টেনে
রাখি বন্ধনে বেঁধে হাত দিব্বি ঘুমাচ্ছে
অথচ আমি তা চিনতে পারিনি, আমরা তাকে চিনতে পারিনা।


২৭ আগস্ট ২০১৯