সন্ধ্যা পাড়ি দিয়ে ঘরে ফিরি
সবাই জানে যাওয়ার সময় নির্ধারিত
ফেরার  সময় অনির্ধারিত
ক্লান্ত ঢুলু ঢুলু চোখ
অবসন্ন শরীর
রোজ এ পথ ধরেই ঘরে ফেরা
আজ দিনটা একান্তই বুঝি আমার!
আকাশে বিশাল সোনালী চাঁদ উঠেছে আজ
ছাতার মতো ছড়ানো বয়সী শিরীষের পাতার আড়ালে রাণীসাহেবার মতো আড়ম্বর করে
আজ সময়টা সত্যিই বুঝি অন্যরকম
ফুলের সুবাস ছড়িয়ে আছে
চারদিক আচ্ছন্ন করে
যেনো কারো হাত ফসকে সুগন্ধি ভরা
পাত্রটি সদ্য ভেঙ্গে গেছে
এই সুগন্ধী বলয়ে প্রবেশ করে
তীব্র মোহাচ্ছন্নতায় ডুবে যাই আমি
কোন সে ফুল?
সখিপরিবৃত রাজকন্যার মতো নাকি সে?
মৃদু নাচের তালে তালে
ওড়নার ঝাপটায় সুবাস ছড়িয়ে
ভাঁজে ভাঁজে অসংখ্য তারার মতো
থোকা থোকা ফুলের স্তবক নাকি?
সে কি উল্লসিত?
সে কি আনন্দিত?
সে কি অপেক্ষমান?
তার ভাষা আমি কি বুঝি?
যাইহোক মুহূর্তে হয়ে যাই
রূপকথার  রাজপুত্তুরের মতো উজ্জীবিত যেনো পিছুটান ভুলে যাওয়া টগবগে যুবক
শ্বাস নেই চোখ বুঁজে, বুক ভরে
ভুলে যাই দিনযাপনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ক্লান্তি