বাতাস ভারী হয়ে আছে দোয়েলের তীক্ষ্ণ সঙ্গীতে,  দূর্গাটুনটুনির দূর্দান্ত উড়াউড়িতে, শালিকের সান্ধ্য কোলাহলে
অত্যন্ত সতর্ক পায়ে ধীরে ধীরে নেমে আসছে চিরায়ত অন্ধকার


মাধবীলতার আনত গুচ্ছ গুচ্ছ ফুলের নিবিড় নিস্তব্ধতায় বসে
এক ঝলক বিষন্নতা তবু কেনো দুখী করে দেয় আমাকে অলীক বেদনায়
দু'চোখ খুঁজে  ফিরছে প্রিয় অনুলেখাকে
দুঃখের কথা মনে এলে, ভাবছিলাম এই যে শানবাঁধানো পুকুর ঘাটে বসে আছি
আগে এখানে ধানক্ষেতে  সবুজ আর সোনালীর ঝড় উঠতো
শুনেছি তারও আগে মালকাবানুর বাজার মিলতো
গমগমে...জমজমাট
তারও আগের কথা ঠিক জানিনা, আগামীকাল কি হবে তাও অজানা
এক দশক, যুগ অথবা শতাব্দী পরে কি হবে
ভাবতে গিয়ে কল্পনার ডানায় ভর করি
তাই দুঃখ কিসে?
এই যে অপূর্ব রঙ-সুগন্ধ আর নির্জনতার প্রশান্তিতে ডুব দিয়ে আছি
একেই ভেবে নেই জীবনের চুড়ান্ত প্রাপ্তি
এর থেকে বেশি  কিছু পাওয়ার  ছিলো কি?
-------------+-----------


কবিপত্নি শ্রীমতি অনুলেখা মজুমদারকে উৎসর্গ করে লেখা, কবির বেদনায় একটুখানি ভাগ বসানোর প্রয়াস...
কোনো ত্রুটি হলে মার্জনা করবেন কবি...