স্বচ্ছ্লতা কাকে বলে-
তুমি ছিলে তার উপমা...
তোমাদের শহরে বিশাল বাংলো বাড়ী-
বাড়ীর সামনে চোখে পড়ার মতো বড় সবুজ মাঠ।
পিছনে লালচে শানবাধানো দূর্লভ পুকুর
পাড়জুড়ে দীঘল নারকেল পাতায় আলোর লুকোচুরি
আমাদের রাজনৈতিক গোপন সমাবেশ
চায়ের কাপে টুং টাং...
শ্রেণীহীন সমাজের দু:স্বপ্ন
যুবক-যুবতীদের সাক্ষাতের বিরল সুযোগ...
তোমার মায়ের সন্দেহ ভরা অভিজ্ঞ চোখ-
''কী নাম তোমার বাছা?
বাবা কী করেন?'' ইত্যাদি ইত্যাদি---
আর আমি তোমার কাছে শুধুই সুন্দরের প্রতিমা
আমাদের হাভাতে ঘর---
তোমার বোকা প্রার্থনা ...
সম্পর্কটি কী কোনো স্পষ্ট রূপ নিয়েছিলো?
আমরা একদল নবীণ প্রাণ শ্রেণীহীন সমাজের স্বপ্ন দেখতাম!
এই দুটি নিস্পাপ হৃদয়ের মাঝখানে কি ভয়ংকর শ্রেণীভেদ-
এর মাঝে পৃথিবী পাড়ি দিয়েছে তাত্ত্বিক কচকচানির কক্ষপথ...
তোমার মায়ের অবজ্ঞাকে উপেক্ষা করে
আমি সে আর আমার ছোট্টসোনা নিয়মিত উড়াল দিচ্ছি দেশে-দেশে
আমার দুখিনী শ্যামল বাংলাকে ছেড়ে যাওয়ার মুহূর্তটিতে-
তবু কেন যে মনে পড়ে
সেই পুকুর-মাঠ-তুমি আর ম্লান নির্জনতাকে ?
কেনো যে অন্তরের বন্দরে বিদায়ী জাহাজের বাঁশি বেজে উঠে?
নিজেকে কেন যে যুদ্ধে পরাজিত এক সৈনিক মনে হয়?
আমাকে,আমাদের দুজনার বন্ধুদেরকে কী তোমার মনে পড়ে?
মনে পড়লে কী একই কোমল কষ্ট হৃতপিণ্ডের রাজ্যপাট দখল করে?
একদিন সময় করে এসে বলে যেও...