তোমার জন্মদিনে তোমার কাছে যাব বলে স্নান করবো সকাল সকাল,
সোজা করে আঁচড়ে নেব চুল,
খুঁজে খুঁজে বার করবো সবচেয়ে পছন্দের  সাদা জামা,
বাগান হতে তুলে নেব এক গুচ্ছ বেলি ফুল।


ভাঙা সাইকেল,ফিতে ছেড়া চটি নিয়েই রওনা দেব,
অর্ধেক পথে গিয়ে মনে পড়ে যাবে ঘরে রাখা আছে কিসমিস,খেজুরের গুড়,
তড়িঘড়ি ফিরে আসবো আবার,
টোপলা সমেত বেড়িয়ে দেখব নেমেছে দুপুর..


তোমার জন্মদিনে বাড়ি ভর্তি লোকজন,দামি উপহার,চতুর্দিক চাঁদের হাট উঠোন ভর্তি ফুলের বাগিচা,
হন্তদন্ত খুঁজে বেড়াবো তোমায়
এঘর সে ঘর লোকজন গিজগিজ কোত্থাও নেই তোমার দেখা..


ছেড়া চটি,বোতাম বিহীন হাতা নিয়ে লুকোব কোথাও,
সরে সরে দেওয়ালে পিঠ ঘসে বেরিয়ে আসতে যাব সন্তর্পণে,আচমকা কোত্থেকে ছুটে এসে আমার গায়ে হেলান দিয়ে খিলখিলিয়ে হেসে উঠবে তুমি,
হাতফসেকে ছড়িয়ে পড়বে সবকটা বেলিফুল মেঝের ওপর,
বুকের মধ্যে মুখ গুজে কি যেন বলবে ভাঙা গলায়,


আমার টোপলা কেড়ে নিয়ে সযত্নে খুলে থর্থরিয়ে কেঁপে উঠবে তুমি,
হতাশায় কান্নায় পিঠঘষে মেঝেতে বসবে পা ছড়িয়ে,পেয়ে যাবে 'না পাঠানো তেত্রিশ খানা চিঠি',
ভাঙা সাইকেলে বসা দুপুরী রোদ্দুর,
স্কুল ফেরত অভিমান বিকেলি গান
খেজুর তলার পাটালি,হারিয়ে যাওয়া নুপুর,
একে একে সমস্ত টোপলা মেলে ধরবে ঝকঝকে চোখের ওপর।