নেতাজী,প্রিয় দেশ নায়ক,ফিরে এসো একটি বার।
শতচ্ছিন্ন এই পোড়া দেশে তোমাকে আজ খুব দরকার।
তুমি যে অমর , হৃদয়ে সবার তাই বেঁচে আছো আজও।
তোমায় দেখে পেয়েছিল ভয় দোর্দণ্ডপ্রতাপ বৃটিশ রাজও।
দেশ মায়ের চোখের জল  ঘুমোতে দেয়নি জীবনভোর,
স্বাধীনতা তো ভিক্ষা নয় তাই করোনি হাতজোড়।
বৃটিশ রাজের সেরা চাকরি হেলায় ছেড়েছো তুমি,
স্বপ্ন তোমার করবে স্বাধীন পরাধীন এই ভূমি।
ছাত্র থেকেই গর্জে ওঠা, প্রতিবাদের সেই তো শুরু
বিপ্লবের অগ্নিমন্ত্রে তাই তুমিই দীক্ষাগুরু।
শত কোটি সন্তান আজও পথ চেয়ে গুনছে দিন।
কবে ফিরে আসবে তুমি?  দেশ শুধবে রক্ত ঋণ।
হরিপুরা থেকে ত্রিপুরী - তোমার গলায় জয়ের মালা।
দেশ তোমায় মানলো নেতা কিন্তু কারো কারো তাতেই জ্বালা।
পুরানো দল ছেড়ে তুমি গড়লে তোমার নতুন দল।
দেশপ্রেমে ছেদ পড়েনি, ভাঙেনি তোমার মনোবল।
কোলকাতায় ঘরবন্দী, বাইরে যেতে মানা তোমার।
সবার চোখে ধুলো দিয়ে  ধরলে পথ অজানার।
দেশ মায়ের সোনার ছেলে, দেশে তোমার হলো না থাকা।
তোমার আসন রয়েছে পাতা, সে আসন আজও ফাঁকা
স্বাধীনতার স্বপ্ন বুকে, এদেশ ওদেশ বিদেশ ঘুরে।
দেশ মাকে করবে স্বাধীন,স্বপ্ন তোমার দুচোখ জুড়ে।
তাইহোকুতে ভাঙলো বিমান,  রটানো হলো তুমি আর নেই।
দেশের মানুষ মানেনি এসব, অমর সুভাষ রইলেই সেই।
তারপর দেশ স্বাধীন হল, টুকরো হল দেশের মাটি।
সে স্বাধীনতা সত্যি কি না? কতটা জল আর কতটা খাঁটি?
তুমিই জানো, তোমার দেশ কতটা সুখে আছে আজ।
স্বাধীন দেশে তোমার স্বপ্ন, বাকি থাকা তোমার কাজ-
সেই কাজ আর স্বপ্নগুলো আজও সব হয়নি ধরা,
তোমার আশীষ মাথায় নিয়ে
হবেই সোনার ভারত গড়া।
বাঙালী আজও স্বপ্ন দেখে, বাংলা আবার দেখাবে পথ।
সোনার ভারত তৈরি হবে, এসো আজ নিই সেই শপথ।