কবিতায় কবি আক্ষেপ করে লিখেছেন ''কেউ কথা রাখেনা" ।
যদি এমনটা হত-তাও ভালো ছিল,কথা রাখুক আর না রাখুক
অন্তত কথা দেবার মত মানুষ ছিল ।সেই ছোট বেলা থেকে
না পেয়ে কেবল শুনে এসেছি -এটা তোর জন্য না,
"সবার জন্য সব কিছু না" ।


চেয়েছিলাম লেখা পড়া শিখে অনেক বড় হব,পাড়ার ছেলেদের
সাথে আমিও হেসে খেলে পাঠশালায় যাবো,
এখন আমি অনেক বড় হয়েছি,চোখে উঠেছে চশমা,চুলদাড়ি পেকে সাদা হয়েছে অনেক কাল আগেই,শরীরের চামড়ায় পরেছে ভাঁজ ।লেখা পড়া আর সেখা হয় নাই ।
বাবা বলেছিলেন এ সব তোর জন্য  না,আমার সঙ্গে মাঠে চল,
সবার জন্য সব কিছু না ।


চেয়েছিলাম নিজের একটা নৌকা হবে,নিজের নৌকা নিজেই চালাবো,দিনরাত এক করে- মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কিনেছিলামও, তার কিছুদিন পরে এক প্রচণ্ড ঝড়ে সে নৌকো ডুবে গেলো মাজ দরিয়ায়,মা বলেছিল বেটা দুঃখ করিসনা,
নৌকা তোর কপালে ছিলনা,
সবার জন্য সব কিছু না ।


ও পাড়ার চুমকিকে খুব মনে ধরেছিল,চৈত্রের রোদেলা দুপুরের বেলা পথের পাশে উঠোনতে আলতারাঙ্গা পায়ে করত খেলা
কিশোরী মেয়ে- তার সখীদের সাথে,চুড়ির রিমঝিম বাজনা বাজতো তার মেহেদি রাঙ্গানো হাতে ।
কাজলপরা পটলচেরা চোখে এক পলক চেয়ে তাকাতো অন্যদিকে ।ঠোঁটে তার উঠত ফুটে দুষ্টু হাসির রেখা ।
তার সাথে আড়চোখে এভাবেই হতো দেখা।
চেয়েছিলাম তাকে-পাওয়া হলনা,
সেই পথেই একা হেঁটে যাই,নিজেকে নিজে আজও বোঝাই,
সে যে আমার ছিলনা,
সবার জন্য সব কিছু না !