ল্যাগবেগে আরশোলা,নাম তার জমিদার;
ঠনঠনে ছটা ঠ্যাং, কিম্ভুত কদাকার।
ফস করে উড়ে গিয়ে,ধপ করে বসে যায়
ওরে রামু, কোথা গেলি! প্রাণ বুঝি উড়ে যায়।
ওই ঘরে ঝাঁটা আছে,এই বেলা আনতো,
ঝাঁটা পেটা হলে বেটা,তবে হবে শান্ত!
আর মলো,গেলি কোথা? কেনো তোর দেখা নাই?
টেঁসে গেলি? গুলি খেলি? ধরে নিলি চরপাই?
ওই ব্যাটা আরশোলা উড়ে যায় ফরফর
এসব কী সওয়া যায়! বুক করে ধড়ফর।
শুঁড়দুটো দিয়ে মোরে কাতুকুতু যদি দেয়;
মরে যাব টুক করে,তার দায় কে বা নেয়?
তুই ব্যাটা কানকাটা,খাটিয়াতে চিৎপাৎ
কতকিছু ঘটে চলে,নেই কোনো দিকপাত।
সৌদির যুবরাজ,পেলারাম দত্ত
সে ছোঁড়ার ঘরে নাকি আরশোলা থাকতো।
হারাতে সে পারেনি,পারেনিকো তাড়াতে
আরশোলা সামনে, পরেনিকো দাড়াতে।
মিসি দিয়ে দাঁত মেজে দিয়েছিল চম্পট
কতকিছু কেড়েছিল,মিসরের লম্পট।
হাল খানা সেই মোর হোক বুঝি চাস তুই?
কত তোকে ভালোবাসি, করিনাতো দুই দুই।
আই বাবা ছুটে আয়,আরশোলা মারবো
দুই জনা এক হলে,তবে কিনা পারবো।
মেরে দেব,পুতে দেব,কেউ নাহি টের পায়
তারপরে বসে বসে গলা খুলে গান গাই।।