ঢং ঢং বাজে ঘড়ি টিকটিক করে
বন বন ঘোরে কাঁটা ছুটে ছুটে মরে।
দিবা থেকে রাত্রিতে কাজ করে যায়
দুই তিন বারো দশ,সব গুলো চায়।
ঝুলে থাকে,হাতে থাকে,থাকে ঘরে ঘরে
দিন রাত আনমনে কাটাকুটি করে।
তুমি চেনো,আমি চিনি,চিনি সব জনা
চিনি ভেবে খেওনাকো ভুলে বালুকণা।
বলুকনা কোণে রেখে ঝুলঝাড়া নিও
ঝুলি থেকে বের করে ভাগ করে দিও।
ভাগ ভাগ বলে যদি তাড়ায় তোমায়,
তারাদের মাঝে গিয়ে ঘুমিও কোমায়।
কোমায় থাকিতে যদি লাগে নাহি ভালো
ব্যাথা লাগে যেইখানে,সেইখানে চলো।
চলাচল করে যদি ধরে যায় পদ,
ভোজনের ঘরে পাবে রকমারি পদ।
ভোজনের পরে যেনো বোসোনা ভজনে
বস তবে সাথে সবে স্বজনে কুজনে।
পাখির কূজন তুমি মন দিয়ে শোনো,
মণ মণ টিন তেল হাত দিয়ে গোনো,
হাত গুনে বলো দেখি পানি কবে হবে,
তোমার পাণী কি মোর মাথা পরে দেবে?
পরে যদি আসো তবে আগেতে জানিও
মনে যদি নাহি ধরে,পর করে দিও।
ধরে যদি ছাড়ো তবে মরে যাবে দীন,
ভেবে ভেবে কেটে যাবে রাত,মাস,দিন।
ভাজা ভাজা হয়ে যাবে যত হাড় মাস,
হার ভেবে পরে নেবো কাটাছেরা ঘাস।
লোকে শত বলে তবু মানি নাহি হার
রোজ রাতে মার ভাত খওয়া দরকার।
রোজ মার খেতে খেতে পিঠ গেলো বেঁকে
ক্ষেত থেকে ডাক দেন বড়বাবু হেঁকে।
আমি ভাবি দেশ থেকে ডাক এলো বুঝি,
ভাবী বলে তুমি থাকো,আমি গিয়ে খুঁজি।
খুঁজিতে খুঁজিতে ভাবী হলো হয়রান
আমি শুনি বেতারেতে কত হলো রান।
এক বল,দুই বল, ছয় বল করে,
একজন শরীরেতে এত বল ধরে?!
ধড়ের ওপরে মাথা,মাথা নিচে ধড়,
মাথা বিনে ধড়খানা করে ধড়ফর।
ফরফর ওড়ে টাকা,খড়খড় করে,
বাধা গরু খড় খায় গোয়ালের ঘরে।
ঘরে দেখো রাখা আছে কর গাঁথা ঘুড়ি,
তারে তুমি করে নিও খেয়ে জল মুড়ি।
করে ধরে তাকে তুমি আকাশে উড়িও,
সাথে করে হাতে বাঁধা ঘরিখানি নিও।
মাঝে মাঝে দেখে নিও তুমি ভালো করে,
ঢং ঢং বাজে ঘড়ি টিক টিক করে।