তেরোকোটি বছর আগের মৃত এক নারীর
পচাগলা মাংসের গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছিল।


আর আজ
আদরের কলকাতা চিররাত্রির জগতে নিশ্চুপ হয়ে বসে থাকে।
তবু প্রতিদিন সেই নারী অজ্ঞাতবাসে যায় ;
হারিয়ে যায় বাগানের অসংখ্য ফুলের মাঝে
ছেঁড়া পাপড়ি হয়ে।


আবার ভোর হয়, শ্রান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পরি আমি।
অতিকায় সূর্যের কমদামি আলোয়
মানুষের বাগানে কুঁড়িরা আবার ফুল হয়ে ফোটে।
ঘুম ভাঙে আমার।


নকল টিউবলাইটের মত নিভিয়ে দিই নির্বোধ সূর্যটাকে।
পাপড়িগুলো আবার খসে পড়ে
কোনো অবিন্যস্ত জগতের সহানুভূতি আর বিপ্লবের কেন্দ্রে।
তেরোকোটি বছর আগে প্রথম
মৃত ফুলের পাপড়ির গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছিল
পচা মাংসের গন্ধের সাথে।


না। আজ চিত্রটা অনেক আলাদা।
সেই সুমিষ্ট বিকট গন্ধ আজ
সভ্যতার বাথরুমে ওডোনিলের প্যাকেটে বন্দি।