এই বর্ষাকালটা বড়ো নিঃসঙ্গ কাটে তার।
আকাশ ঘনিয়ে আসে।
সে প্রবাসিনী যুবতীকে দেখতে পায়।
দেখতে পায় জানলার বাইরে ভেজা হাত,
হাতের তালুতে জমা জল, তর্জনীর আংটি ভেজা।
সে চায় আকাশ তাকে জোঁকের মতো শুষে নিক,
বাতাস ছুটে যাক গ্রীষ্মপীড়িত রেলগাড়ির বেগে
মেঘেদের দল নিয়ে প্রবাসপাড়ায়,
সেই প্রবাসপাড়ায়,
যেখানে সোঁদা শান্ত শব্দ হয়ে চুপটি করে আছাড় খাওয়া যাবে আংটির সাথে,
নিবিড় চঞ্চল বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়া যাবে
যুবতীর নরম হাতে -
আর প্রবাসপাড়ার গাছেরা অপার শান্তিতে মারা যাবে সেইদিন।