ল্যাবরটরীর নোটবুকে লিখেছি কত নাম,
কবিতার ডাইরিটার বেশী সযত্নে
ধুলা পরে গেছে।
তবে অক্ষরগুলো সাথে পরিচয় শিথিল হলেও
নোটবুকটার পাতায় পাতায় একটিই নাম,
সেটি হল থার্মোমিটার,
এটা ভুলিনি।
মনে পরে গেল, বাড়িতেও একটা তোলা আছে,
সেটা বার করে হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ চুপ থাকলাম।
ভাবলাম এটা নিয়ে কি করব?
কিছুই বুঝতে পারলাম না,
নিজেকে নরকের কীট মনে হল।
হঠাৎ দেখি মিটারের দাগটা বেড়ে আবার কমে গেল
আমার শরীর ব্যর্থতায় হিমালয়ের চূড়ায় উঠল,
দেখি মিটারে দাগটা ক্রমশ নামছে।
দেওয়ালের ক্যালেন্ডারে একটা ছবি দেখলাম
হাতের জিনিসটার প্রতিরূপ ।
মনে কিছুটা সাহস জন্মাল
ছবিটায় একটা শিশু মায়ের কোলে
আর ডাক্তারবাবু থার্মোমিটার দিয়ে চিকিৎসা করছে।
ছবিটা দেখে আমি একমনে তাকিয়ে আছি,
মা পাশ থেকে ডেকে বললো,
‘‘ খোকা তোর জ্বর এসেছে?”
মা হাত থেকে থার্মোমিটার নিয়ে
আমার শরীরে ঠেকিয়ে বললো
‘‘না খোকা, জ্বর তেমন নেই”।
তারপর নোটবুক ভালো করে মুছে রেখে দিলাম
প্রতিদিন একবার করে দেখতাম,
এই অক্ষরগুলোর সাথে বন্ধুতটা জমে উঠল।
একদিন মা ডেকে বললো
‘‘খোকা গাটা, গরম মনে হচ্ছে,
থার্মোমিটারটা এনে একবার দেখ না।’’  
আমি বললাম, ‘‘আসছি মা” ।।