কবি হলেন সমাজের দর্পণ, কবি মানেই মার্জিত জন। কবি তার দার্শনিক শক্তিতে শুদ্ধ সমাধান তুলে আনেন। কবি'র রচনা সমাজ পরিবর্তনে অনন্য ভূমিকা পালন করে।
কবিদের সৌন্দর্য চেতনার পরমায়ু অনন্ত। কবি প্রাণ প্রতিটি মুহূর্তে একই সুন্দরে প্রথম দর্শনের মতো মুগ্ধ হতে পারে। কবি প্রিয়ারা কখনোই রূপ হারায় না। কেননা, কবিরা অনন্য দৃষ্টির অধিকারী। তাই, কবিদের মুগ্ধতার বয়স বাড়ে না, শেষ হয় না।
মানুষের মগজে আজব সন্দেহ আর বিষ্ময়কর বিশ্বাস ঢুকিয়ে দেয়াই কবি'র কাজ। স্রষ্টা প্রদত্ত শক্তিতে প্রতিটি মুহূর্তেই শব্দ ব্যাঞ্জনা, ভাবনার ছলনা দিয়ে কবিরা মানুষের মগজ পরিচালনা করেন।
একজন কবির সবচে বড় গুণ হলো সহজেই প্রভাব বিস্তার করতে পারা। কবিরা তাদের সমাজকে অবশ্যই বদলে দিতে পারে তা'র লেখনীর মাধ্যমে। তাদের এ ক্ষমতা  স্বয়ং স্রষ্টা প্রদত্ত।
কবি হলেন সর্বজন সম্মানীয় জন। কবি বলতে শুধুই কবি আর না হলে কবি না। তরুণ কবি, বৃদ্ধ কবি, বড় কবি, ছোটো কবি সহ অন্যান্য বিশেষণ গুলো মূলত ফটকামো।  এসব যারা করে এবং গ্রহণ করেন তারা ফটকা। যিনি কবি, তিনি শুধুই কবি। অতএব, কবিকে সম্মান করুন এবং অবশ্যই সম্মান করুন।


রূপ, রঙ, রসে আরেক ভিন্নতা নিয়েই আধুনিক কবিতাময় বর্তমান সময়।
আধুনিক কবিতা বুঝে ওঠা অত সহজ না।  অতি সাধারণের জন্য এ কবিতা না। সাধারণ এবং অসাধারণ গোত্রের বোধের দরজায় যে একটা চিন্তার বিশাল আকাশ সেখানে পাখি হতেই  কবিতার আধুনিক ধারার প্রবর্তন। জটিল ভাবের নিপুণ বিন্যাসে গড়ে ওঠে এসব কবিতার শরীর। মূলত একটি পরিপূর্ণ আধুনিক কবিতার অন্তরে দশ লক্ষাধিক ভাবনা লুকিয়ে থাকে। পাঠক ইচ্ছে মতো এর মুগ্ধতা শুষে নিতে পারে, এটাই আধুনিক কবিতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
সমসাময়িক আধুনা যেসব কাব্য- কবিতা চর্চা ও রচিত হয়, এর পাঠকেরাও মূলত এক একজন কবি। আধুনিক কবিতাবোধ অতি সাধারণের ধারণ ক্ষমতাতীত। আমার দর্শনে প্রতিটি সাধারণ প্রাণই একজন আধুনিক পাঠককবি।



-সাদা কাঁক(মেহেদী হাসান), কবি।