জামাল মিয়া ঘুরছে থানায়, পাঁচটি বছর ধরে,
মামলা যে তার নেয়নি পুলিশ, তাই সে আজও ঘোরে।
বাড়ী তাহার সানিয়াজানে, থাকে বাঁধের উপর,
দিন মুজুরী তাহার পেশা, কষ্টে কাটায় বছর।


গরীব হলেও সুখেই ছিল, চার ছেলে মেয়ে নিয়ে;
অমঙ্গল যে তাহার ঘরে, আসলো হঠাৎ ধেয়ে।
সুন্দরী বৌ তাহার ঘরে, থাকতো সে তাই ভয়ে ভয়ে,
গ্রামের ক'জন বখাটে যে বাড়ীর পাশে বেড়াই ঘুরে।


একদিন তার বৌকে নিয়ে, যায় যে ওরা উধাও হয়ে,
এই ঘটনার ক'দিন পরে, লোক মুখে সে শুনতে পারে;
বখাটেদের নির্যাতনে বৌ যে তাহার গেছে মরে,
সে দিন থেকেই বিচার চেয়ে ঘুরছে জামাল দ্বারে দ্বারে ।


কে শোনে আজ তাহার কথা, করবে বিচার, তার কয়টা মাথা,
প্রভাব শালীর ছেলে পেলে, ফুর্তি করে বেড়ায় ঘুরে।
এমনি ভাবে মানুষ মেরে, বিচার কি তার হবে নারে
টাকা দিয়ে নেয় যে কিনে, যে জামালের কথা শোনে,


উকিল হাকিম আর যে পুলিশ, যদি রে পায় একটু মালিশ;
তাতেই বিচার শেষ, এই তো মোদের দেশ।
কার বিচার আজ কে করে ভাই, গরীব দুঃখীর বিচার যে নাই।
তাই ফরিয়াদ গুমরে মরে, বিচারের বাণী কেদে ফেরে।


( বিঃ দ্রঃ- কবিতা টি একটি সত্য ও বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে রচিত)