আমি " নূর কাজল" রোহিঙ্গা শিশু বলছি-


রাখাইন রাজ্যে, বাড়ী মোদের গ্রামে বসবাস,
হঠাৎ করেই  হয়ে গেল মোদের সর্বনাশ,
সাত সদস্যের পরিবারে সবাই ছিলাম সুখে;
ভাঙ্গল কপাল মিয়ানমারের সেনা বাহিনী দেখে।


কাঠুরিয়া বাবা আমার গরীব ঘরের, ছেলে,
গ্রামের সবাই বাসতো ভাল মন প্রান ডেলে;
হঠাৎ সেদিন মিয়ানমারের আসলো সেনারা,
গুলি করে মারলো মানুষ গায়ের পর গাঁ।


বাবা আমার গুলি খেয়ে লুটিয়ে পরে ঘরে,
তাকে রেখেই দৌড় যে দিলাম আমরা সবে ভয়ে;
ক্ষুধার জ্বালা চাপিয়ে পেটে সাতদিন সাতরাত্রি হেটে,
বন জংঙ্গল আর নদী নালা পেড়তেই হায় বাড়ল জালা;
তবু মোরা সীমান্ততে এসে হলাম জড়ো।
আমরা যারা রোহিঙ্গা ভাই কিসের অপরাধে,
মিয়ানমারের জান্তা সেনা মারছে অবাধে।
মুসলিম মোরা এই যদি হয় মোদের অপরাধ,
তাই বলে কি বিশ্ববাসী বাড়াবেনা হাত।


কিন্তু মোরা সারা জীবন থাকতে নাহি চায়,
বিশ্ববাসী হলে সহায় গ্রামে ফিরতে চাই।


( বিঃদ্রঃ-কক্সবাজারের কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে আল জাজিরা টিভি'র সাংবাদিক কেটি আননল্ড এর নেয়া এক সাক্ষাতকারে ১০ বছরের শিশু নূর কাজলের পরিবারে নেমে আসা নির্যাতনের বণনা থেকে অনুপ্রানীত হয়ে লেখা এই কবিতা )
πππππππππππππ
রচনাকাল-১৭ ডিসেম্বর ২০১৭
           হাতীবান্ধা, লালমনিরহাট