এই আমার বাংলা,এখানে প্রভাত আসে কৃষানের সুরে-দোয়েল-শালিকের কলরবে,
বাতাসে উড়ে তামুকের উন্মাদনা,
ধীরে ধীরে জ্বলে ঘাস-দুবলার প্রবাল-হিরে-মুক্তা।
এই আমার বাংলা,এখানে শোভিত সুনয়না  গঙ্গা - যমুনা,বার মাস জল জলসায় চির যৌবোনা ঝিল-নদী-নালা।
ঝাকে ঝাকে মিন ভাসে, ঢেউয়ের তালে তালে।
ডিঙি বেয়ে চলে,কোষা পারাপারে সরলবাসি

সোনালি আলো ছড়ায় মধ্য রবির মায়াবিনী,
সবুজের দেহে সোনা ঝরে,অথবা বাহারি রশ্মি। ছোট ছোট ঘর গুলু নিমন্ত্রণ  জানায় দূরের পথিক কে,
বোষ্টব-বোষ্টমি গেয়ে যায় গান এই মেঠোপথে।
একতারা ছন্দ তোলে চাতক-চাতকিনীর ভীরে।এই আমার বাংলা,এখানে সন্ধ্যায় পাখির ডানায় সোনালু  ফুল ফোটে,
ঝিঁঝিঁ গুলু ডেকে বলে সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বলে
এখানে ওখানে,বাঁশবনের ধারে,ছোট ছোট শান্ত  ক্ৃষানের নীড়ে।


এই আমার বাংলা,এখানে শীত খেলে যায় মিষ্টি রোদে,
কুয়াশার মাঝে ভীর করে,আকাশ প্রকৃতি দখলে অতিথীপাখিরা।
এখানে হয় নবান্ন, সোনালি ফসলি উঠানে উঠানে,
কৃষানির দেহে আনন্দের ঘাম ঝরে-পিঠা ঊত্সব এখানেই হয়,
এই বাংলার ঘরে।


এই আমার বাংলা,এখানে বসন্ত আসে ফুলের ঢালি নিয়ে,
সুরের সঙ্গিতে মূরছনা তুলে দক্ষিনের হাওয়ায় কোকিলের গানে।
এখানে কাশ্ ফুলে ফুলে শারদ স্বাজে,শুভ্র খন্ড মেঘ আকাশে ভাসে,


এই আমার বাংলা,আসর জমে এখানে ঘেটু-জারি-সারি -পালা গানের,
নৌকা বাইচ-যাত্রাপালা -পুথি মিশে আছে পূর্ব্  ঐতিহ্য এখানে ঘরে ঘরে।
আনন্দ ভাগাভাগি ,নিরবে পাশাপাশি জাত বিভেদ ভুলে এক কাতারে।


এই আমার বাংলা,এখানে ঘরে ঘরে আছে শান্ত জননি,
ক্ষেত-নদী-মাঠে প্রশান্তি মেলে,যেন মাতৃ ছবি।