হাত বাড়ালেই কি আকাশ ছোয়া যায়?
তোমরা কি পারো?
কিন্তু ,ওরা শুধু আকাশ ই ছোয়নি!
কিনেও নিয়েছে।
আকাশ টাকে খন্ড খন্ড করেছে
আবাসনের জমির মতো।
চাষাবাদ চালায় মেঘের,সূরয্যর নীলের।
যখন ইচ্ছা ভোগ করে তুমুল ভাবে।
জ্যোস্না কেও,
শুধু অমাবশ্যা রেখেছে আমাদের জন্য।
ওরা কিনে নিয়েছে সব-জীবনের শেষ ঠাই টুকু
চোখের পানিও আজ হুকুমের গোলামের মত অপেক্ষায়।
আসেনা,ঝরেনা সেই অশ্রুটুকু।
নিরবে শুকায় আসহায়ের মত পাজরের খোলে।
হাসিও আজ সৈরতন্ত্রের স্বীকার।
নীরবে নীরবে গ্রাস করে,আমাদের সুখ।
পাপ পূণ্যর হিসাবে ও চক্রবৃদ্ধি হারে সুধ বাড়ে।
এখনো ওরা একক নায়ে,
ওদের ভরাডুবি না জানি কত দূর!
সেটি ও কি আমাদের হাতে!
আমরা মুক্তি পাগল,্মুক্তির গান গেয়ে মুক্তি খুজি।
আমাদের পথ গুলু ও ওরা অবরোধ করে
শাষকের নামের হাতুড়ী পেটাইয়ে।
ওরা রক্ত চোষা,মাফিয়া,ধনতন্ত্রের রাজ,
নীরবে শুষে খায় যত
কঙ্কালের হাড়ে দাত বিধিয়ে,
যার রক্তে-ঘামে ,এখনো ধান ভেজা।
ঘাম গুলু শিশির হয়ে জ্বলে
প্রভাতের আলোয়।
ওরা কিনে নিয়েছে,ছোট বসত ভিটা,ফসলের মাঠ,
এক এক করে দেশ থেকে মহাদেশ,
মায়ের সন্তান।
সমাধিতে চাষ চালায়-হাড়ের কম্পোস্টে দালান উঠায়,
রঙশালা-পানশালা-মদ-কামুকের উল্লাস সাজায়।
তোমরা পার?
এখনো কিনেছে বাতাস,নদীর পানি,সাগরের সীমাহীন জলরাশী
নতুন শীশুর নিকেতন - আবাস।
বেদখল দিয়েছে শিশুকে মাতৃদুগ্ধে
তুমুল ভাবে গ্রাস করছে
এই পৃথিবীকে,
মাফিয়া তন্ত্রে আজ বিশ্ব চলে।