পর পুরুষে ঢুকলে ঘরে যদি নিজের মরদ ডরেই মরে
বলো দেবী , কি তবে উপায় ?
কোমরে বেঁধে শাড়ির আঁচল দলন করতে দুষ্ট ধর্ষক দল
মহামায়া তখন , হন সহায় ।
মা রাঁধেন বাড়েন গড়েন যেমন দশটি হাতে পালেন যেমন
স্বামী সংসার ছেলে মেয়ে ,
চণ্ড মুণ্ড বধেন তিনি মধু কৈটভ মহিষমর্দিনী
কন্যা শহুরে ও পাড়াগেঁয়ে !
বরটি তার বিশ্ব মাতাল ছাই ভস্মে উথাল পাথাল
উলোঝুলো রূপে করেছেন বশ
পাহাড়ি বালা ষোড়শী তখন দেখে অমন মত্ত নাচন
ভোলার যাদুতে জাগল প্রেমরস ।
বাবা-মা’র না শুনে কথা উমার পাথেয় : নারী স্বাধীনতা
বিয়ে করেছেন নিজের পছন্দমতো ;
দশ হাতে সামলে ঘরকন্না বাউন্ডুলে বর , চার পুত্রকন্যা
দেব মানব সবে তাঁর বন্দনায় রত
জননী আমার দশপ্রহরণধারিণী আবার , বাঙালী ঘরের দস্যি তরুণী
যেন এক দেহে দশ অবতারিনি !
নহ কন্যা , নহ স্ত্রী , নহ মাতা তুমি সৃষ্টি , তুমি লয় , তুমি ত্রাতা
তোমার পরিচয় , তুমিই স্বয়ং
এ বিশ্ব চরাচর তোমারই খেলা দশদিশে দশদিকে দশভুজার কর্মশালা
বন্দনা করি মাগো , ত্যাজি অহং
রেখো মা সন্তানে কোলেকাঁখে প্রনাম অযুত কোটি , আমান-আনখে
সত্যম-শিবম-সুন্দরম তব জয়গান রচে ।।