কৃষ্ণকালো জলে মেয়েটি আত্মাহুতি দিলো-
তার সাথে তার সাজানো স্বপ্ন,ভালোবাসা ও ছিলো।
মনের ব্যাস-ব্যাসার্ধের হিসাবটা তার জানা না ছিলো।
তাইতো সূলভেই সবার আপন হয়ে যেতো;
অন্ধের মতো সবাইকে বিশ্বাস করতো-
পাপ-পূণ্যের খতিয়ানটা মেলাতে পারলো না।
সমাজের কদর্যতা ধরতে পারলো না।
ভালোবাসা, ঘৃণার জ্যামিতিক নকশা অবোধ্য রয়ে গেলো।
হীরকখন্ড আর পাথরের কাঠিন্য অজানাই রয়ে গেলো।


বেগ-আবেগের নির্যাসটুকু ধারন করতে পারলো না।
নরম-শক্তের ভেদাভেদ বুঝলো না।
সত্যমিথ্যার লুকোচুরিতে নির্বাক দর্শক হলো।
সুখ-দুঃখের বৃত্তাকারে জীবনটা চক্রবদ্ধ হলো।
আলো-আঁধারের উত্তাপটা ধরতে ব্যর্থ হলো।
কূপ, সমুদ্রের গভীরতা একাকার হয়ে গেলো;
খেই হারিয়ে অতল-গহবরে বিসর্জন দিলো।