রচনাকাল-৩০ জুলাই ২০২০


তারা কর্দমাক্ত মাটির বিছানায় খেলা করে একসাথে-
পোকামাকড়, সর্প-কেঁচো আরো আছে অজানা প্রাণী;
কারো সাথে খুব ভাব,কারো সাথে একদমই হয়না বনিবনা।
কেউ সুখ দুঃখের আলাপনে ব্যস্ত, কেউবা করে কানাকানি আপন আলয় নুয়ে।
কেউ হাসে, কেউ কাঁদে, কেউবা আপনমনে দোল খায় মাটির দোলনায়;
কেউবা খোলা আকাশের নিচে মিটিমিটি তারার ফুল গুণে;
কেউবা দুধেল জ্যোস্নায় মাখামাখি করে পূর্ণ ষোল-কলাতে।
চিত্রাভানু যখন খিলখিলিয়ে হাসে তখনো ওরা আঁধারেই ডুবে থাকে;


বর্ষার ভরা যৌবনে ওদের কষ্ট হয় বেশ, থাকে আতঙ্কে কখন যেন মাটির ছাদ ধসে হয়ে যায় উন্মুক্ত।
ওরা উলঙ্গ, ওরা বিবস্ত্র তবুও ওদের নেইকো লাজ-শরমের বালাই;
ওরা নয়তো কৃষ্ণবর্ণ, নয়তো শ্বেতবর্ণ , নয়তো উজ্জ্বল শ্যামবর্ণ-
ওরা সবাই একবর্ণ, তাইতো ওদের অহমিকার নেইকো উঁচুনিচু।
একদিন ওদের বর্ণ ছিলো, বসন ছিলো, লজ্জা ছিলো, স্বপ্ন ছিলো, আকাঙ্ক্ষার দাবানল ছিলো;
একদিন ওরাই রাজা, ওরাই রানী, ওরাই কারো আপন ছিলো;
অর্থ ছিলো, প্রতিপত্তি ছিলো, তান্ডব ছিলো, দাপট ছিলো।
আজ ওরা চিরস্থায়ী ঠিকানার বাসিন্দা, নিজস্ব কামড়ায় বন্দী- আত্নার কঙ্কাল।