জল ভরা দৃষ্টিতে মেঘগুলো থমকে আছে একরাশ জমানো অভিমানে;
ঘাসফড়িংয়ের গা ঘেঁষে অভিমান গুলো ঝরে পড়ে নোয়ানো ঘাসফুলে।
বুনোফুল গুলো হাসছে বিশ্বজয়ের আনন্দে বৃষ্টিভেজা অপরাহ্নে-
হাসছে কলমি লতা, হাসছে বিলের জলে ভেসে থাকা রাজহংসের দল।
তেজদীপ্ত লোকালয় ভিজছে এলোমেলো বৃষ্টির আন্দোলনে;
অভিমানী মেঘগুলো নুয়ে পড়েছে শানবাঁধানো পাড়ে- কৃষ্ণকালো জলের আবক্ষে বনলতার বেশে।
নৈসর্গিক কার্নিশ বেয়ে অমৃতসুধা আছড়ে পড়ে সমরেশ, শীর্ষেন্দুর সাজানো বাগানে;
প্রাচীন পৌরাণিক কাহিনী ভিজে যায় অভিশপ্ত জোয়ারে।
উত্তপ্ত ঝুল-বারান্দায় আষাঢ়ীয় ঢল-
রজঃস্বলা নদীর বুক চিড়ে ফিরে ফিরে আসে সময়ের পারাবার।