চোখের বেনোজলে ভেসে উঠে ঘর-সংসার,
উঠোন ভরা ফুল বাগিচায় হরেক রঙের বাহার।
দূরন্ত, চঞ্চলা মেঘরাশি  নীলাম্বরে ছুটছে অনির্বার;
অবুঝ শিশুর দল ছুটছে তার পিছু পিছু।
গার্হস্থ্য প্রাণীদের অন্ন জোগানে অবিরাম ছোটাছুটি;
একমুঠো সুখের আশে সময় বয়ে যায় নদীর স্রোতে।
সুখ! সেতো স্রোতধারা- আঁজলা ভরে থাকে নাতো হয়ে নজরবন্দী।
কুন্তল মেঘে ঘন-বরষার আনাগোনায় অসময়ের আগন্তুক;
বাবুইয়ের খাসা কুঁড়ে ঘরে জন্ম নেয় পাপের নবধারা।
দীঘির জলে ভেসে যায় নববধূর স্বপ্নের বারো হাত শাড়ির আঁচল;
বৃদ্ধার বর্ষীয়ান কপোলের ভাঁজে ভাঁজে নীরব কান্নার জলাধার;
লাঙ্গলের ফলা চষে বেড়াচ্ছে চিত্তের একখন্ড জমিন এপাশ ওপাশ অহর্নিশি-
বুকের দাবানলে পুড়ছে আকাঙ্ক্ষার ডামাডোল, খাঁচায় বন্দী প্রাণভোমরা;
হাজার বছরের অভিশপ্ত জীবন শেষ হয় শঙ্খচিলের ডানায়।


রচনাকাল-১৯শে আগষ্ট ২০২০