জানালার কাঁচ গুলো বৃষ্টিতে ভিজছে ,
জমে থাকা ধূলো চুয়ে চুয়ে পড়ছে নিম্নগতিতে অঝোর ধারায়।
অতীব্র, মিষ্টি আলোয় সিক্ত পূর্ণাবয়বে প্রিজমিক আলোকধারা নিঃসঙ্গ, একাকী;
পত্রবল্লব শিষে দোয়েল, চড়ুইয়ের তৃষ্ণার্ত ঠোঁটের আলিঙ্গন।
বারান্দার গ্রীলে বৃষ্টিস্নাত কুন্দলতার ঝাড়টা জড়িয়ে আছে  পরম আকুলতায়;
সেখানেই শরীর বাঁচাতে কাকগুলো আসন গেঁড়ে বসেছে।
ঝরা বকুলে সোনার কাঁকন হাতছানি দেয় সঙ্গমের আহ্বানে,
নীলবধূ সেজেছে যেন নীল অপরাজিতা- বৃষ্টিকণার অলংকারে।


উত্তপ্ত সূর্য্যের গায়ে শীতল বুদবুদ গড়িয়ে পড়ছে চৌচির মর্ত্যালোকে-
নোনা ধরা স্যাঁতসেঁতে দেয়ালটা সবুজাভ-ছত্রাকে আবৃত;
পিপীলিকার দলবেঁধে নব বাসস্থানের সন্ধানে গমন।
বারান্দায় টাঙ্গানো আধ ভেজা কাপড় গুলো যেন বৃষ্টি তুলিতে আঁকা জলছাপের ক্যানভাস;
দক্ষিণের জানালায় বৃষ্টি ভেজা বাতাসের মাতাল গন্ধ-
নেশায় আবিষ্ট করছে মেঘাচ্ছন্ন জলভরা চিত্তকে।
চায়ের তপ্ত পেয়ালাতে বৃষ্টির শীতল জলরাশির অবগাহন-
বাবুইয়ের খাসা আঁতুরঘরে ঝুলছে যেন সুখের উদাসিনী সাম্পান।


রচনাকাল- ২১শে আগষ্ট ২০২০