গাঢ় নীল আকাশের বুকে,পাহাড় গুলো কালো ছায়া ফেলেছে।
তিস্তা শেষ সম্বলের মতো আঁকড়ে আছে চড়ায় ঘেরা জল টুকুকে।
  নেপালী গানের বিষন্ন সুর আনন্দ ছড়াতে ব্যর্থ।
মেঘের আঁচল ছেড়ে বীর সিংহের মতো বেরিয়ে আসে তারার দল,
রক্তাক্ত উত্তর আকাশের মাঝে নিজেদের চিনিয়ে দিতে তারা তৈরি।
লালচে মেঘের পালতোলা নৌকা দক্ষিন থেকে।
তারাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম,আমি দেখলাম;
আর দেখল ঘাড় উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা শালগাছের দল।
বাতাস দম বন্ধ করে সঙ্গ দিচ্ছিল তাদের স্তব্ধতায়,
চাঁদটা নির্বাক দর্শক হয়ে হারিয়ে গেছে,হারিয়ে গেছে তারারাও।
কিংবা মিশে গেছে তারা পাহাড়ের গায়ে আটকে থাকা,আলোগুলোর সাথে।
পাহাড় আলোর অপেক্ষায় অন্ধকারের আঁচলে লুকিয়ে আছে।
অন্ধকারকে সে ভয় পায়;ভালোবাসে।
সুনীল সকালের কোমল রোদ আবার যখন গা ভিজিয়ে দিয়ে যায়,
    নিভে যাওয়া তারাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ থাকে,
     আকাশের কোলে শায়িত বুদ্ধের দিকে,
    সোনার চাদর ঢেকে দিচ্ছে তাকে ক্রমশ,
কাঞ্চনজঙ্ঘা সেজে উঠেছে শ্বেতালঙ্কারে!এবার আত্বপ্রকাশ ঘটবে তার
   মুগ্ধ হয় তারারা,সংগ্রামে বিধ্বস্ত তারারা।