তাদের প্রথম দেখা স্কুল করিডরে,
সমবয়সী আর পাচজন যখন খেলার নেশায় মাতাল-
টিফিনবেলায় তাদের মন তখন
লুকোচুরিতে মেতে ছিল...


বেশ ভালো ছবি আকঁতো ছেলেটা-
ক্লাসের ফাকে ফাকে শেষ পাতায়
হাত বোলাতে বোলাতে
কখন 'মেয়েটা' হয়ে গেছে , বুঝতেই পারেনি।


সে আজ বছর পনেরো আগের কথা-
আজ মেয়েটা শহরের নামকরা ডাক্তার,
আর ছেলেটা-
পেশায় চিত্রকর,ছবিদের রূপকার।


ব্যবসায়ী স্বামীর সাথে এবারের জন্মদিনে
সে ডাক্তারের প্রথম ছবিদের ঘরে আসা...
তার সেই পুরোনো পনেরো বছর
নির্বাক ছিল- এবার পেয়েছে ভাষা।


প্রত্যেকটা ছবিতে তুলির টান ছিল দারুন-
তবু মেয়েটার একটাও লাগেনি ভালো
একঘেয়ে বিবাহিত জীবন-
মেয়েটাও বোধহয় অন্যকিছু চেয়েছিল।।


শেষ ছবিটায় চোখ আটকে যায়
রংমাখা আর্টপেপার মেয়েটার কাছে
তখন আর ছবি নয়-
একটা গোটা আয়না হয়ে দাড়িয়েছে..


এ মেয়েটাকে সে রোজ দেখেছে আয়নায়
কখনো স্নানের পর চুল শুকোতে গিয়ে
কখনো সাজার জন্যে কাচদন্ডের সামনে দাড়িয়ে
স্বপ্নের নায়িকাকে এভাবেও খুজে পাওয়া যায়..


তার আজ আকাশছোয়া আনন্দ...
যদি অদৃষ্টের কাছে আরও একটা উপহার পাওয়া যায়
সে তবে একবার শুধু-
অতীতের চিত্রকরের সামনে দাড়াতে চায়।।