মুখোশ
———
      সুপ্রিয়া চৌধুরী
         —————-
কিছুদিন আগেও,
কি যে সংশয়,-কোভিড হলো এই বুঝি
সবাই মুখোশ লাগাও মুখে,-
তবেই নাকি বাঁচোয়া,
   নইলে মরতে হবে ভুগে !
সর্বোচ্চে ছিল মুখোশের স্থান
     নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যে,-
মানুষ চেনা দুষ্কর ছিল
         এই মুখোশের ফাঁকে।


“শুনছেন স্যর”,—ডাকছিল কেউ,
     এই ত সেদিন প্রাতে,
আরে ! এ যে আমার ই ছাত্র
মুখোশ পরে, বই খাতা নিয়ে হাতে।
“চিনলি কি করে ? আমি ত পারিনি !”
আমার কৌতুহল !
উপেন বললে, “চিনতে  পারিনি,
শুধু পুরোনো ব্যাগ টা দেখেই—-“
——   “ও তা ই বল”!


যাগ্ গে, সেসব পুরোনো গল্প,
পুরোনো খবর,-
সেই বিভীষিকা, দুস্বপ্ন প্রহর।
কিছুটা স্বস্তি, এসেছে নিকটে,
মুখোশ ও ঢুকেছে জামার পকেটে।
মানুষ চেনার ঝক্কি  ফুরোলো,-
আর ব্যাগ, কিংবা, ঘড়ি দেখে নয়,
মুখ দেখেই, মুখ চেনার
অবকাশ এলো।


জানিনা কি হলো হঠাৎ, সেদিন,
আমার ই বন্ধু,—এত বেইমানি ?
মুখে মুখোশ ত নেই ! তবু চিনতে পারিনি !
আঘাত হেনেছে হৃদয়ে আমার,
ছিঁড়ে ফেলে দিয়ে মুখোশ টি তার।
ক্ষত বিক্ষত মনে আমি, নীরবে ভাবি বসে,-
এত লোক যারা চলেছে, চারপাশে,
কেউ বা কাহারা, কি বিনা মুখোশে আছে ?


এ তো নয় কোনো ‘কোভিড’ মুখোশ,
ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া, নয়কো সহজ !
এ যে সততা, আস্থার নির্মম বহিঃপ্রকাশ,
নেই মানবিকতা, নেই বিশ্বাস !
কবে খুলে যাবে এই নোংরা মুখোশ ?
বেরিয়ে আসবে আসল মানুষ ?
শুধু অপেক্ষা, শুধু ই অপেক্ষা,
কবে হবে এই অমানবিকতার শেষ !
——————————————-