সোনা রোদের সুয্যিমামা দিত পুজোর ডাক
ড্যাম কুরাকুর ড্যাম কুরাকুর উঠত বেজে ঢাক।
শিউলি ফুলের সুগন্ধতে পাগল হত মন
দিন গুনতে শুরু হত, ঠাকুর আসবে কতক্ষণ।
পথের ধারে মাঠের পাড়ে কাশফুলেতে সাদা
মেঠ পথের মাঝে মাঝে দলতে হত কাদা।
নতুন নতুন জামা- কাপড় কষ্ট করে হত
কষ্ট ছিল, তবুও সবাই আনন্দটা পেত।
মহালয়ার ভোরে মনে আসত খুশির বান
রেডিওতে বাজত সুরে আগমনীর গান।
চতুর্থী  তে পথের ধারে দোকান বসে যেত
মোটের ওপর দু- একটাকা হাত খরচা হত।
হরেক রকম খাবার সেথায় জিলিপি আর গজা
কেউ বেচত রসের বড়া, কেউবা বাদাম ভাজা।
মা - বাবারই সঙ্গে যেতাম বিকেল বেলা বেড়িয়ে
মাঝে মাঝে ঠাকুর হত অনেকটা পথ পেরিয়ে।
অষ্টমীতে ছোলার ডাল আর সঙ্গে লুচি ভাজা
নবমীতে মাংস হত, দশমীতে গজা।
ছ- সাতটা দিন কাটতো মজায় পড়াশুনার ছুটি
বিসর্জন টা অশ্রু এনে ভরাত চোখ দুটি।
সেসব দিনের কথা আজও মনে আসে বার বার,
পুজো আছে তবু যেন খুশি নেই মনে আর।