একজন কবি নূপুরের গন্ধ পেয়েছিলেন।
শুনে সবাই হেসেছিল খুব,
আমিও মনে মনে ভেবে ছিলাম
এই কবিটা বড্ড বেয়াকুব!
হাত চাপড়ে কারো অট্টহাসি
কেউবা নিজের মুখেতে হাত চাপে,
কেউবা আপাত ইঞ্চি ফিতে দিয়ে
কবির নাকের দৈর্ঘ্য টা মাপে।
কেউবা ভাবে কেমন নূপুর ছিল!
কেউবা অবাক গালেতে হাত দিয়ে।
কেউবা ভীষণ চিন্তামগ্ন হয়,
কি বলা যায় কবির ভাবনা নিয়ে?
মজার ছলে কবির হৃদয় ভাঙ্গা,
সেই দিন টা আজ ও মনে আছে।
আমার প্রিয়ার ঘুঙুর খুলে এনে
বাজিয়েছিলাম কবির কানের কাছে।
কবি সেদিন মুচকি হাসি হেসে
বলেছিলেন,- ‘‘পাঠক তোমায় সেলাম।
আজকে আমি প্রথমবারের মতো
নিজের গায়ে নিজের গন্ধ পেলাম।’’


আমার প্রিয়া ঘুঙুর বাঁধে না আর,
আমার বাঁশি তোলে না আর সুর।
উঠোনে আর আসেনা প্রাণপ্রিয়া
বাজে না তারা দু পায়ে নূপুর।
পৌষমেলায় কাঁচের চুড়ি কিনে
ভেবেছিলাম প্রিয়ার হাতে দেবো।
প্রিয়া যদি দুহাত বাড়িয়ে দেয়
কবির মতো চুড়ির গন্ধ নেব।
দুইটি কানে তুলোর গোঁজা দিয়ে,
আলোকবর্ষ হেঁটেই চলে যাই।
আমি এখন শ্বাস বন্ধ করে
অনায়াসেই চুড়ির গন্ধ পাই।